<Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research ="https://gmpg.org/xfn/11"> Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research Sri Yoga Center Ashram's Blog - The Bengal flavour of Health Science,art and culture. - Page 46

কাল ভৈরব

Spread the love

আজ কালভৈরব দেবাবির্ভাব অষ্টমী। কৃষ্ণপক্ষের এই অষ্টমী তিথি কালভৈরব অষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়। এইদিনে মহাদেব কালভৈরব রূপ ধারন করেন। কালভৈরব দেবতা শিবের একটি হিংস্র প্রকাশ বা রুদ্র অবতার, যা মৃত্যু এবং বিনাশের সাথে সম্পর্কিত।
শিব পুরাণে শিবের এই রূপের বিষয়ে বর্ণণা করা হয়েছে। পুরাণ মতে, কালভৈরব কাল বা সময়ের শাসক। প্রতিটি মন্দিরেই কালভৈরবের মূর্তি থাকে। তিনি সেই মন্দিরের রক্ষক হিসেবে বিবেচিত হন। শিব মন্দিরে কালভৈরব এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ওই মন্দিরের চাবির রক্ষক বলে গণ্য হন।
দেবাদিদেব মহাদেবের অনেক রুদ্র অবতার আছে। দৈত্য দানব ও অশুভশক্তির বিনাশ হেতু ভগবান জটাধর বিভিন্ন রুদ্ররূপের ব্যাপ্তি ঘটিয়েছেন। ভগবান মহাদেবের রুদ্রাবতার অতীব ভয়ঙ্কর এবং মহাবিনাশক। ভগবান শিবশঙ্কর যখনই রুদ্ররূপ ধারণ করেছেন ত্রিলোক কোনও না কোনও দ্বিধায় পড়েছে, কিন্তু পরবর্তীকালে ধরিত্রী পেয়েছে নবপরিচয়। যা একমাত্র মহাকালের লীলাতেই সম্ভব ছিল। ঠিক যেমন অনলে দগ্ধ হয়ে স্বর্ণ হয় শুদ্ধ, ঠিক তেমনই মহারুদ্রের ক্রোধাগ্নিতে দগ্ধ হয়ে ধরিত্রী হয়েছে শিবভস্ম যা থেকে পরবর্তীতে অঙ্কুরিত হয়েছে শুদ্ধ পবিত্র জ্ঞানবৃক্ষ।
মহাদেব শিবের যতরকম রুদ্র অবতার আছে তন্মধ্যে অন্যতম একটি অবতার হলো কালভৈরব। কাল শব্দের অর্থ ‘মৃত্যু’ আর ভৈরব শব্দের অর্থ ‘ছন্দ’ অর্থাৎ কালভৈরব শব্দের অর্থ মৃত্যুরদেবতা বা কালবিনাশক।
কথিত আছে ব্রহ্মার পঞ্চম মস্তক যা সমূহপাপে আক্রান্ত সেই পাপ ও মস্তক বিনাশ হেতু মহাদেবের নীলতেজ হতে কালভৈরবের আবির্ভাব।
তন্ত্রশাস্ত্র মতে, বৈদিক দেব-দেবীদের প্রভাব কলিযুগে অস্তমিত হবে। প্রধান দেবতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন ভৈরবরা।
মহাজগতের বিশেষ স্থানগুলি ভৈরব রক্ষা করেন। ভৈরবের মোট সংখ্য ৬৪। তাদের ৮টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। প্রতিটি শ্রেণির আবার একজন করে প্রধান ভৈরব রয়েছেন। প্রধান ৮ ভৈরবকে ‘অষ্টাঙ্গ ভৈরব’ বলা হয়। অষ্টাঙ্গ ভৈরবের নামগুলি এই প্রকার- অসিতাঙ্গ ভৈরব, রুরু ভৈরব, চণ্ড ভৈরব, ক্রোধ ভৈরব, উন্মত্ত ভৈরব, কপাল ভৈরব, ভীষণ ভৈরব ও সংহার ভৈরব। এই আটজন মহাবিশ্বের আটটি দিকের অধিপতি। এই আট জন আবার নিয়ন্ত্রিত হন মহাস্বর্ণকালভৈরবের দ্বারা। তিনিই সাধারণভাবে কালভৈরব নামে পরিচিত।
ভৈরবদের মহিমা অনেকটাই গুপ্ত। প্রত্যেক ভৈরবের একজন করে ভৈরবী থাকেন। ৬৪ ভৈরব ও তাদের সঙ্গিনী ৬৪ যোগিনী তন্ত্রমতে বিবিধ শক্তির আধার। ভৈরবরা সুপ্ত এবং দূরবর্তী। ভৈরবীরা সক্রিয়। বিভিন্ন পূজা, উপচার ইত্যাদির মাধ্যমে ভৈরবীশক্তিকে তুষ্ট করে ভৈরবের প্রসাদ লাভ করতে হয়। এই সাধনধারা দীর্ঘ দীর্ঘ কাল ধরে চলে আসছে।
কালী পূজার সময় কালভৈরব রূপে মহাকাল রূপী শিবের পূজা করা হয়। তন্ত্রসাধক মহাকাল কে সাধনায় সন্তুষ্ট করে অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়।
মহাকাল ভৈরবের প্রণাম মন্ত্র —
ॐ মহাকালং যজেদব্যং দক্ষিণে ধূমবর্ণকম।
বিভ্রতং দন্ড খটাঙ্গৌ দংস্ট্রাভীমমূখম্ শিশুম্॥
ব্যাঘ্রচর্মাবৃতকটীং তূন্দীলং রক্তবাসসম্।
ত্রিনেত্রমূর্ধং কেশঞ্চ মুণ্ডমালা বিভূষিতম্।
জটাভার লসচ্চচন্দ্র খন্ডমুগ্রং জলন্নিভম্॥
.
হর হর মহাদেব
.
(সংগৃহীত)


Spread the love

টালা ওয়াটার ট্যাঙ্ক

Spread the love

শুধু ভারতবর্ষ নয়, পৃথিবীর বৃহত্তম ওভারহেড রিজার্ভার হলো কলকাতার ‘টালা ট্যাঙ্ক’। ঐতিহাসিক ‘টাইটানিক’ জাহাজ যে লোহা দিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘টালা ট্যাঙ্ক’ তৈরি হতেও সেই রকম লোহা ব্যবহৃত হয়েছিল। তথ্য বলছে, টালা ট্যাঙ্ক নির্মাণের জন্য প্রায় ৮৫০০ টন লোহা লেগেছিল। যা ইংল্যান্ডের সুদূর ম্যাঞ্চেস্টার থেকে জাহাজে করে আনা হয়েছিল। মাটি থেকে ১১০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ওই ট্যাঙ্ক আক্ষরিক অর্থেই এক বিস্ময়! সল্টলেক স্টেডিয়ামের মাপ হল ২৮০ ফুট বাই ২৮০ ফুট। সেখানে টালা ট্যাঙ্কের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের মাপ ৩২১ ফুট বাই ৩২১ ফুট! অর্থাৎ, ফুটবল মাঠের থেকেও আয়তনে বড় ওই জলাধার! ২১৫টি লোহার স্তম্ভের উপরে দাঁড়ানো ট্যাঙ্কটির উচ্চতা ২০ ফুট।
১৭১৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মোঘল সম্রাট ফারুকশিয়ার-এর কাছ থেকে ৩৮টি গ্রাম অধিগ্রহণ করেছিল। যার মধ্যে ৩টি ছিল বর্তমান কলকাতায়। আস্তে আস্তে কলকাতা যখন শহরে পরিবর্তিত হতে থাকলো এবং উন্নত থেকে উন্নততর হতে থাকলো তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রথম এবং প্রাথমিক কাজ হয়ে উঠলো নাগরিকদের সুস্থ পানীয় জল সরবরাহ করা। কারণ যেকোনো সুস্থ বসতি এবং জনজীবন গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জলের গুরুত্ব সবার আগে। সেইসময় হেদুয়া, ভবানীপুর এবং ওয়েলিংটন এ পুকুর কেটে জল সরবরাহ শুরু করা হয়। এরপর শহর বড় হতে লাগলো, বড় হতে লাগলো জনজীবন, জনবসতি, তাই নাগরিকদের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থকর জল সরবরাহ করার জন্য তত্‍কালীন পুর ইঞ্জিনিয়র মিস্টার ডেভেরাল একটি ট্যাঙ্ক ( রিজার্ভার) তৈরির প্রস্তাব দেন । প্রস্তাবটি তৈরি করেছিলেন তাঁর সহকারি মিস্টার পিয়ার্স । প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত হয় বেঙ্গল গভর্নমেন্টও । ১৯০১ সালের প্রস্তাব কর্পোরেশন গ্রহণ করে ১৯০২ সালে । এর ঠিক এক বছর পর এই প্রস্তাবে সামান্য অদলবদল আনেন পৌরসভার নয়া নিযুক্ত ইঞ্জিনিয়র ডব্লু বি ম্যাকক্যাবে । তাতে প্রস্তাবিত অঙ্কের পরিমাণ বেড়ে হয় ৬৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৮৭৪ টাকা । তবে আরও উন্নত জল পরিষেবা সম্ভব বলে তাতে সম্মতি দেয় পৌরসভা ।
এখন সমস্যা হলো এত বড় ট্যাঙ্ক তৈরি হবে কোথায়? আজ যেখানে ‘টালা ট্যাঙ্ক’ দাঁড়িয়ে আছে সেখানে এক কালে প্রচুর পুকুর ছিল, এই পুকুর ভরাট করে তৈরি করা হয়েছিল এই ট্যাঙ্কটি। এই ট্যাঙ্কের জায়গা অর্থাৎ ৪৮২ একর জমি দান করেছিলেন বাবু খেলাদ ঘোষ নামক এক ব্যক্তি। তাঁরই জমিতে তৈরি হয়েছিল প্রায় ১০ তলা বাড়ির সমান এই ট্যাঙ্ক। ১৯০৯ সালে তৎকালীন গভর্নর স্যার এডওয়ার্ড বেকার এই ট্যাঙ্কের শিলান্যাস করেন এবং ১৯১১ সালে নাগরিকদের জল সরবরাহ করার জন্য খুলে দেওয়া হয় এই ট্যাঙ্কটি।
আশ্চর্য্য বিষয় হলো পুরোপুরি কাঠের পাটাতন-এর উপর কোনো স্ক্রু ছাড়ার ৩২১ ফুট×৩২১ ফুট বর্গাকার এই বিশালাকার টাঙ্কটি এখনোও গর্বের সাথে মাথা উঁচু করে মানুষকে জল সরবরাহ করে যাচ্ছে। প্রথমে ‘টালা ট্যাঙ্ক’-এর ছাদটি ছিল চুনসুরকির। পরে ছাদে ১৪ ইঞ্চি পুরু কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে তৈরি করা হয়। ‘টালা ট্যাঙ্ক’-এর ফাউন্ডেশন-এর কাজ করেছিল টি সি মুখার্জি এন্ড কোম্পানি এবং কংক্রিট ফাউন্ডেসন-এর কাজ করেছিল রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জির মার্টিন এন্ড কোম্পানি, স্টিলের কাজ করেছিল ইংল্যান্ডের ক্লিটেনসন এন্ড কোম্পানি। পরে ছাদটি যখন কংক্রিটের তৈরি হয়েছিল তখন কাজ করেছিলেন আরাকন এন্ড কোম্পানি এবং বাবু কালীশঙ্কর মিত্তির। ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪১ স্কোয়ারফিটের ৪ টি কম্পার্টমেন্ট যুক্ত এই বিশালাকার টাঙ্কটি খুবই বিচক্ষণতার সাথে এবং বুদ্ধি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল যাতে ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গেলে কোনো ভাবে যেন জল সরবরাহ ব্যাহত না হয়। ৯০ লক্ষ গ্যালন জল ধরার ক্ষমতা রাখে এই বিশাল আকারের টাঙ্কটি। এর উচ্চতা ১৮ ফুট, কিন্তু জল থাকে ১৬ ফুট পর্যন্ত। উত্তরের দমদম থেকে দক্ষিনের ভবানীপুর পর্যন্ত এই জল আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপের মাধ্যমে পৌঁছে যায় প্রতিটি কলকাতাবাসীর ঘরে। পলতায় গঙ্গা থেকে পরিশোধিত জল প্রায় ২২ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ৬টি পাইপের মাধ্যমে টালায় পৌঁছায়। তা জমা হয় নীচের জলাধারে। সেখান থেকে ৬০ ইঞ্চি পাইপে সেই জল ওঠে মাটি থেকে প্রায় ১১০ ফুট উপরের ওই ট্যাঙ্কে। পৃথিবীর বৃহত্তম এই জলাধার এক সময়ে সারা কলকাতায় জল সরবরাহ করত। পরে গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প হওয়ায় টালার উপরে চাপ কিছুটা কমেছে।
এটাতো গেল ট্যাঙ্কের আকার নিয়ে বর্ণনা, কিন্তু তার সাথে এই ট্যাঙ্কটি এতটাই মজবুত যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান যখন বোমা ফেলেছিলো তখনও ধ্বংস হয়নি। শুধু মাত্র ৯ টা ছিদ্র হয়েছিল। প্রচুর বড় বড় ভূমিকম্প এসেছে কিন্তু কোনো ক্ষতিই হয়নি ‘টালা ট্যাঙ্ক’-এর। এই বিশালাকার ট্যাঙ্ককে ক্ষতি করতে পারলে কলকাতাকে কব্জা করা যাবে এই চিন্তা নিয়ে ১৯৬২, ১৯৭১-এর যুদ্ধে চীন ও পাকিস্তানের কাছে সব থেকে বড় টার্গেট পয়েন্ট ছিলো ‘টালা ট্যাঙ্ক’। কারণ পানীয় জল ব্যতীত মানুষের জীবন অচল। কিন্তু এই সমস্ত বাধা এবং প্রতিকূলতাকে দূরে ঠেলে আজও আমাদের বাঙালির তথা বিশ্ব-এর গর্ব হয়ে রয়ে গেছে এই ‘টালা ট্যাঙ্ক’।
অতি সম্প্রতি প্রায় ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে আসা আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারতো শতাব্দী প্রাচীন টালা ট্যাঙ্ক। এই ভয় কাজ করেছিল পুর আধিকারিকদের মনে। কারণ, মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। বিগত ১০০ বছরে এত বড় রকমের ঝড়ের কোনো অভিজ্ঞতাও নেই কারোর। দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দেখে শুধুমাত্র মেয়রকে জানিয়েই টালা ট্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। আর সেই সিদ্ধান্তেই কেল্লা ফতে হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এমনিতে হাইড্রোলিক সিস্টেম এ টালা ট্যাঙ্ক থেকে অবিরাম পদ্ধতিতে অনবরত জল ওঠানামা করে। কখনোই ট্যাঙ্কে জল দাঁড়িয়ে থাকে না। কিন্তু দুপুরের পর পরিস্থিতি দেখে আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, বিকেল পাঁচটা থেকে রাত্রি পর্যন্ত কোন জল নামতে দেওয়া যাবে না। দ্রুত চাবি বন্ধ করে জল নামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। টালার ট্যাঙ্কে জল ধরার ক্ষমতা ৯০ লক্ষ গ্যালন। ৮০ লক্ষ গ্যালন জল দ্রুত পূর্ণ করে ফেলা হয় ট্যাঙ্কের চারটি প্রকোষ্ঠে। জল-সহ গোটা ট্যাঙ্কের ওজন দাঁড়ায় ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। যাকে এক চুলও নড়ানো ক্ষমতা আমফানের ছিলো না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু একটা পরীক্ষা হয়ে গেল এর মধ্যে দিয়ে। আগামী আরও ১০০ বছরের জন্য সুরক্ষিত টালা ট্যাঙ্ক। আমফানই যেন সিলমোহর দিয়ে গেল!
আজও একভাবে জলের মাধ্যমে জীবন দান করে চলেছে কলকাতার প্রায় প্রতিটি ঘরে।
সংকলন ও লিখন – #রূপকথা_রায়
পুনঃপ্রকাশ
সংগৃহীত

Spread the love

Veda finds Snake in the Lights

Spread the love

We know the light is an electromagnetic wave. It has both electric property and magnetic property. The wave propagation is Serpent. Two Energies propagate in two different plane like TWO SNAKES.

http://www.astronomynotes.com/light/s3.htm#:~:text=Electric%20and%20magnetic%20fields%20oscillate,same%20thing%20called%20electromagnetic%20radiation.

Here I am showing from the Veda ,we is adoring the snakes.

Source is KRISHNA JUYUR VEDA , 4th KANDA, 2ND PROPATHAK, PAGE -531.

This snake is present in the light and it is coming from the Sun through the light and it is also present in the waves and current of the water, it is also present in the brain and mind , in the power and our life force. so now think,this snake is not like any reptiles as you’re looking. They have extended their thoughts in the power and energy and which is a scientific fact.
This is the way of our Indian worshipping. We are worshipping the Supreme in His or Her or Both infinite Souls, Energies , ways of expression and materials, Not THAT OBJECT ONLY.

Source from the KRISHNA Yaju

Spread the love