<Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research ="https://gmpg.org/xfn/11"> Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research Sri Yoga Center Ashram's Blog - The Bengal flavour of Health Science,art and culture. - Page 48

ভূতচতুর্দশী ও ১৪ শাক

Spread the love

ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাকের তালিকা ও তাৎপর্য: এই দিনে কোন রীতি পালন করলে ঘরে আসে সৌভাগ্য
দুর্গাপুজোর পরই লক্ষ্মীপুজো। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আলোর রোশনাইয়ের উৎসব দীপাবলী (Dewali)। বাংলায় কালীপুজোর রাতে অন্ধকারের গ্রাস সরিয়ে ঘরে ঘরে দীপ জ্বেলে দীপাবলী পালনের রীতি প্রচলিত। আর সেই রাতের আগের দিন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই ভূত চতুর্দশীর তাৎপর্য।

ভূত চতুর্দশী ও ১৪ শাক

মূলত, ভূত চতুর্দশীতে ১৪ শাক ও ১৪ টি প্রদীপ প্রতিটি বাঙালি ঘরেই জ্বালানো হয়। আর এর নেপথ্যে রয়েছে বহু আচার বিচার। তবে তার আগে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ১৪ টি শাক ভূত চতুর্দশীতে খাওয়া হয়। যে ১৪ টি শাক খেয়ে ভূত চতুর্দশী পালিত হয়, সেই ১৪ শাকের নাম হল, ওল , কেঁউ, বেতো , সর্ষে, কালকাসুন্দে, জয়ন্তী , নিম,হেলঞ্চা, শাঞ্চে, পলতা, গুলঞ্চ, ভাঁটপাতা, শুলফা, শুষণী শাক। এই শাক খেয়ে সন্ধ্যেবেলায় ১৪ টি প্রদীপ দিয়ে অন্ধকার বিতাড়নের পূর্বরীতি প্রচলিত রয়েছে বাংলার ঘরে ঘরে।

১৪ শাকের তাৎপর্য

মনে করা হয় , ভূত চতুর্দশীর দিনটিকে ১৪ পুরুষের জন্য উৎসর্গ করা হয়। পূর্বপুরুষরা এমন দিনে মর্ত্যে আসেন বলে বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। প্রচলিত ধ্যানধারণা বলছে, এই ১৪ পুরুষ , জল, মাটি, বাতাস, অগ্নির সঙ্গে ওতোপ্রোত ভাবে মিশে রয়েছেন। আর তার জন্যই মাটির কোলে থাকা ১৪ টি বিশেষ শাক খেয়ে এদিন দিনটি ১৪ পুরুষের জন্য উৎসর্গ করা হয়।

১৪ প্রদীপ কেন জ্বালানো হয়?

মূলত, পূর্বপুরুষ বা পূর্বের ১৪ পুরুষের জন্য ভূত চতুর্দশীর দিনটিকে উৎসর্গ করা হয়। আর তাঁদের উদ্দেশেই ১৪টি প্রদীপ সারা ঘরে দেওয়া হয়। অনেকেই এই দীপান্বিতা অমাবস্যায় লক্ষ্মীর আবাহন করে দুরাত্মাকে ঘর ছাড়া করার পুজো করেন।

১৪ শাক ধোয়ার জল কী করতে হয়?

কথিত রয়েছে, যে জল দিয়ে ১৪ শাক ধোয়া হয়, সেই জলকে ঘরের বিভিন্ন দিকে ছিটিয়ে দিলে দুরাত্মা দূর হয়। এর ফলে বহু বাধা বিঘ্ন কেটে ঘরে শান্তি বিরাজ করে। আসে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি।


Spread the love

ব্রম্ভকমল

Spread the love

“ব্রম্মকমল”
স্বয়ং ব্রম্মার হাতের এই ফুল পৌরাণিক মতে, হাতির মাথা লাগানোর পরে গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রহ্মকমলের জলে স্নান করে। যে কারণে, এই ফুলকে ‘জীবনদায়ী’ পদ্মও বলা হয়। তবে শুধু “পৌরাণিক” মতে গনেশের নয় বর্তমান যুগেও এটি একটি জীবনদায়ীই ফুলই বটে।
উত্তরাখণ্ড গেলেই আপনার চোখে পরবে এই ফুল,মূলত রূপকুণ্ডের পথেই দর্শন পাবেন।
অনেক দুষ্প্রাপ্য ফুলের মধ্যে এটি এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ যাদের মূল আবাস হিমালয় পার্বত্য এলাকা, ভারতের উত্তরাখণ্ড , মায়ানমারের উত্তরাংশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমচীন। হিমালয়ের ৪৫০০ মি. উর্দ্ধে দেখা যায় উত্তরখন্ডের এই “রাষ্ট্রীয় ফুল”। ব্রহ্মকমলের আর দুটো নাম কন, কাপ্ফু *আরো কিছু হতে পারে।
আগে পাহাড়ি অঞ্চলজুরে এই ফুল দেখা দিলেও এখন তা বিলুপ্তের পথে। আঞ্চলিক মন্দিরগুলোয় পুজোর জন্য প্রভূত পরিমাণে ব্যবহৃত হয় এই ফুল। তা ছাড়াও, ব্রহ্মকমলের ঔষধি গুণাগুণের ফলে, প্রচুর পরিমাণে তা বিক্রি হয় কালো বাজারে। তিব্বতে এই উদ্ভিদ ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত্ হয়ে থাকে, যা তিব্বতীয় ভাষায় “সা-দু-গোহ-ঘুহ” নামে পরিচিত। নানান ভেষজ ঔষধ ও মুত্র-সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত্ হয়।
তাছাড়া প্রতি নিয়ত পৃথিবীর আবহাওয়া বদলের ফলেও কমে যাচ্ছে এ ফুলের সংখ্যা।
মানুষ নিজেরস্বার্থে ধ্বংস করেই যাচ্ছে এই দুষ্প্রাপ্য ফুল।
কেদারনাথ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি, নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ও অ্যসকট ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি— ব্রহ্মকমলের জন্য বর্তমানে এই তিন অভয়ারণ্যই কেবলমাত্র সংরক্ষিত স্থান। কিন্তু ট্রেকার ও ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের কাছে একটাই অনুরোধ পাহাড়ি পথে ঘাটে এর দেখা পেলে ছবি তোলা পর্যন্তই সীমিত থাকবেন, তুলে নষ্ট করবেন না।
***(ট্রেকে বা ভ্রমণে যখন আমরা যাই তখন কিছু জিনিস আমাদের জানাটাও অত্যন্ত প্রয়োজন, সে ফুল হোক বা কীটপতঙ্গ।জিনিসগ
ুলোর সাথে পরিচিত হয়ে সামনাসামনি দেখার মজাই আলাদা আবার পরিচিত হলে গুরুত্বটাও জানা যায়।অকারণ পাহাড়ের-প্রকৃতির জিনিস নষ্ট না করার বিষয়টাও মাথায় থাকে।)

By- Aniruddha Chakraborty


Spread the love

শ্রীমদ্ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজ

Spread the love

কিঙ্কর রামেশানন্দজী( রামেশ্বর ডাগা) লিখছেন :
বৃন্দাবনে জে কে পরিবারের মন্দিরে দীর্ঘদিনের অতিথি ছিলেন ভারত বন্দিত মহাত্মা—-শ্রীমদ্ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজ | তিনি ছিলেন ভগবদ্দ্রষ্টা সর্ব্বশাস্ত্রজ্ঞ মহাপুরুষ | সেবার তাঁর জন্মোৎসব এ তাঁর বিরাট আশ্রমে ভারতপূজ্য শঙ্করাচার্য্যজী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন অসংখ্য বিদ্বান ও সন্তমন্ডলী | জে কে পরিবারের সঙ্গে পূজ্য অখণ্ডানন্দজীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল | জে কে পরিবারের গৃহবধূ এ দাসের কনিষ্ঠা কন্যা সুনন্দা প্রসঙ্গক্রমে অখণ্ডানন্দজীর কাছে জানায় যে সে শ্রীশ্রীবাবার কৃপাশ্রয় লাভে ধন্য | স্বামীজী সঙ্গে সঙ্গেই গভীর আকুতি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন—-“তাহলে তোমার মাথায় যখন তিনি হাত দিয়েছিলেন, তখন তোমার নিশ্চয় কিছু অনুভূতি হয়েছিল?” শ্রীশ্রীবাবার উপর তাঁর কি অবিচলিত বিশ্বাস! একবার বোম্বেতে ভুলাভাই অডিটোরিয়াম এ সহস্র সহস্র শ্রোতৃমণ্ডলীর কাছে প্রবচন করছিলেন অখণ্ডানন্দজী | প্রভুকে কোন ভক্ত সেখানে নিয়ে যান | স্বামীজী স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে শ্রীশ্রীবাবার একটি হাত নিজের মস্তকে তুলে নিয়ে সমবেত ভক্তমণ্ডলীর উদ্দেশ্যে বললেন,—“ইনকা হাত জিসকে মাথে পর জায়েগা, উসিকা কল্যাণ |”
*** মহাত্মা প্রভুদত্ত ব্রহ্মচারীজী একবার “জাহ্নবীকুঞ্জে ” শ্রীশ্রীবাবার দর্শনে এলেন | বাবার নিয়মানুসারে তাঁকে চৌকিতে বসানো হল | বাবা বললেন,—“ব্রহ্
মচারীজীর চরণ ধুইয়ে দে |” শ্রীমৎ প্রভুদত্তজী প্রবল আপত্তি জানালেন—-“শ্র
ীভগবানকা সামনে চরণ নেহি ধোলায়েগা |” শ্রীশ্রীবাবা আবার একই আদেশ করলেন | ওঁর কিন্তু সেই প্রতিজ্ঞা | শ্রীশ্রীবাবার সম্মুখে চরণ প্রক্ষালন করতে দিলেন না |
****বিশ্ববিশ্রুত মহাত্মা “Divine Life Society ” র কর্ণধার শ্রীমদ্ চিদানন্দজী মহারাজের ও শ্রীশ্রীবাবার প্রতি ভক্তির তুলনা ছিলনা | শ্রীশ্রীবাবাকে তিনি গুরুবৎ শ্রদ্ধা করতেন, দণ্ডবৎ প্রণাম করতেন, আর বলতেন, ” আপনি ও আমার দীক্ষাদাতা আচার্য্য আমার কাছে অভিন্ন |”হৃষিকেশ আশ্রমে বাসন্তী পূজা বা দুর্গাপূজার সময় শ্রীমদ্ চিদানন্দজী হৃষিকেশে অবস্থান কালে সশ্রদ্ধভাবে উপস্থিত থাকতেন | একবার ওঁকে নিমন্ত্রণ করতে গেছি, তারকদাও( তৎকালীন সংঘ সর্ব্বাধীশ) সঙ্গে আছেন | গিয়ে দেখি শতাধিক বিদেশী দীক্ষার্থী এসেছেন | আমাদের আবেদন শুনে স্বামীজী সশ্রদ্ধভাবে বললেন —” দেখুন যাবো | তবে এতজন রয়েছেন এখানে——any way I shall pinch out some time “. শ্রীমদ্ চিদানন্দজী এসেছিলেন শুধু নয়, শ্রীশ্রীবাবার ধ্যানকক্ষের সম্মুখে ধ্যানস্থ হয়ে তিনি দন্ডায়মান থাকতেন ও শ্রীশ্রীবাবার উদ্দেশ্যে পরে শ্রীশ্রীবাবার উদ্দেশ্যে সাষ্টাঙ্গে প্রণতি জানাতেন দীর্ঘক্ষণ | এটি তাঁর দীর্ঘ অনুসৃত অভ্যাস |শ্রীশ্রীবাবাকে তিনি শ্রীভগবানের অবতার বলেই মান্য করতেন | এক প্রবন্ধে লিখেছেন ” Baba’s advent and presence in this age is of utmost significance to India as well as the whole world…….After several centuries Babajee has now come to revive and give fillip to this all important saving and liberating work commenced by Mahaprabhu….. Boloved Babajee is verily “Namabatara”.

সূত্র —জয় রাজরাজেশ্বর !!
by– Aniruddha Chakraborty

Spread the love