<Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research ="https://gmpg.org/xfn/11"> Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research Sri Yoga Center Ashram's Blog - The Bengal flavour of Health Science,art and culture. - Page 24

🙏🏻স্বামী রঙ্গনাথানন্দের জীবন দর্শন🙏🏻

Spread the love

১}তপস্যা করার জন্য কোথাও যাব এমন ভাবনা আমি কখনও করিনি l আমি একথাই ভাবতে শিখে ছি যে , যেদিন থেকে আমি শ্রী রামকৃষ্ণ-সঙ্ঘের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছি সেদিন থেকে আমার তপস্যা শুরু হয়েছে এবং আমার সমগ্র জীবন ও কর্মই তপস্যাl

২} গুরুপ্রদত্ত মন্ত্রের মাধ্যমে ঈশ্বরের নাম করবে বারবার l তুমি একা থাকলে তাঁর নাম উচচস্বরে করতে পার l সেই শব্দতরঙ্গ দিয়ে তোমার মনকে পরিপূর্ণ করো l ঈশ্বরীয় নামে মহান শক্তি আছে ,তবে তা আমাদের অনেক সময়ই অব্যক্ত থাকে l বারংবার মন্ত্র উচচারণের মাধ্যমে মন্ত্রশক্তি মনের অন্তদেশে প্রবেশ করে দুষ্ট চিন্তার অবসান ঘটায় l

৩} কাজ করো ,কাজের সঙ্গে অবসরও উপভোগ করো ,কাজকে কখনও ক্লান্তিকর করে তুলবে না এবং কাজের পরিধির বাইরে মনকে হাল্কা রাখতে চেষ্টা করতে হবেl যদি হৃদয়ে কর্মের জন্য অনুরাগ থাকে তাহলে কাজও আনন্দময় হয়ে ওঠে ও সব কিছুই সুন্দর হয়ে ওঠেl

৪} মানুষ স্বরূপগত ঐশ্বরীক ও আধ্যাত্ম ভাবে ভাবাপন্ন -কিন্ত সেই ভাব সুপ্ত থাকে l আমাদের সেই ঐশ্বরিক ভাবকে বিকশিত করতে হবে নিজের নিজের জীবন ও কর্মে ; গড়ে তুলতে হবে নৈতিক দৃঢ়তা ও ইচছাশক্তি l

৫} মানুষের মধ্যে অন্তনিহিত দেবত্বকে পুজো করার সঠিক উপায়টি দুটো শব্দের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে l “দানমানাভ্যাম”–দান এবং মানের মাধ্যমে l অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা-দান করতে হবে l দরিদ্র ব্যক্তিকে অন্নদান বা কর্মদান করতে হবে এবং এই দান-সম্পাদানের ক্ষেত্রে –ঐ ব্যক্তিকে সম্মান অর্থাৎ মান দিতে হবে l নিজেকে বড় বা শ্রেষ্ঠ মনে করে অন্যের প্রতি কৃপা করা চলবে না l

৬} আমরা দূষণ নিয়ে আলোচনা করি–পরিবেশ দূষণ ,জল দূষণ ,ইত্যাদি কিন্ত এই সময়কালে মনের দূষণই সব চাইতে মারাত্মক
দূষণ l মন সর্বদাই কলুষিত হচছে l এই জগৎ-সংসার প্রতিনিয়ত মনের কাছে দূষণের তরঙ্গ পাঠিয়ে চলেছেl তাই উপনিষদ আমাদের উপদেশ দিয়ে বলেছেন আমরা যেন মনের ভিতরে পৃথিবী থেকে যা আহরণ করে রাখি,তা
গ্রহন করার আগে শোধন করে নিই l উপনিষদের এই শিক্ষা যথার্থভাবে গ্রহন করলে মন শুদ্ধ থাকবে l আমাদের দেহ-মন উভয়েরই যত্ন নিতে হবে , কিন্ত মানসিক- আহার দৈহিক আহারের তুলনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ l

৭} সমস্যা যত জটিলই হোক না কেন ,মানুষ করতে পারে না এমন কোন কাজই নেই l মানুষের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা নিহিত আছে l এটাই হল স্বামী বিবেকানন্দের “বৈদান্তিক অধ্যাত্মবাদ” l

৮} আমাদের জীবনে কোন কিছু পরিত্যগ করাই কঠিন আর অহংকে পরিত্যগ করা সব চাইতে কঠিন l কিন্ত সত্যকে উপলব্ধি করার জন্য এই ক্ষুদ্র অহং টিকে সর্বাগ্রে পরিত্যাগ করতে হবেl

–স্বামী রঙ্গনাথানন্দ✓ TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

 

 


Spread the love

🌺🌻🌺 শ্রীরামকৃষ্ণ🌺🌻🌺

Spread the love

🍃🍃🍃 শ্রীরামকৃষ্ণকে যেরূপ দেখিয়াছি 🍃🍃🍃

ঠাকুর বলিতেন, “মার উপরে যে একান্ত নির্ভর করে, মা তাহার অন্তরে বসিয়া যাহা বলিতে হইবে, তাহা অভ্রান্ত ইঙ্গিতে দেখাইয়া বলাইয়া থাকেন, এবং স্বয়ং শ্রীশ্রীজগদম্বা ঐরূপ করেন বলিয়াই তাহার জ্ঞানভাণ্ডার কখনও শূন্য হইয়া যায় না । মা তাহার অন্তরে জ্ঞানের রাশি ঠেলিয়া দিয়া সর্বদা পূর্ণ করিয়া রাখেন । সে যতই কেন ব্যয় করুক না, উহা কখনও শূন্য হইয়া যায় না ।” বিষয়টি বুঝাইতে যাইয়া একদিন তিনি একটি ঘটনার উল্লেখ করেন ———
দক্ষিণেশ্বর কালীবাটীর উত্তর পার্শ্বেই ইংরেজদের বারুদ-গুদাম নিয়ত পাহারা দিবার জন্য কতকগুলি সিপাহী থাকিত । উহারা সকলে ঠাকুরকে অতিশয় ভক্তি করিত এবং কখনও কখনও তাঁহাকে তাহাদিগের বাসায় লইয়া যাইয়া ধর্মবিষয়ক নানা প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া লইত । ঠাকুর বলিতেন, “একদিন তাহারা প্রশ্ন করিল, ‘সংসারে মানব কিভাবে থাকিলে তাহার ধর্মলাভ হইবে ?’ অমনি দেখিতেছি কি, কোথা হইতে সহসা একটি ঢেঁকির চিত্র সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত । ঢেঁকিতে শস্য কুটা হইতেছে এবং একজন সন্তর্পণে উহার গড়ে শস্যগুলি ঠেলিয়া দিতেছে । দেখিয়াই বুঝিলাম, মা বুঝাইয়া দিতেছেন, ঐরূপে সতর্কভাবে সংসারে থাকিতে হইবে । ঢেঁকিতে যে শস্য ঠেলিয়া দিতেছে, তাহার যেমন সর্বদা দৃষ্টি আছে, যাহাতে তাহার হাতের উপর ঢেঁকির মুষলটি না পড়ে, সেইরূপ সংসারের প্রত্যেক কাজ করিবার সময় মনে রাখিতে হইবে, ইহা আমার সংসার বা আমার কাজ নহে, তবেই বন্ধনে পড়িয়া আহত ও বিনষ্ট হইবে না । ঢেঁকির ছবি দেখিবামাত্র, মা মনে ঐ কথার উদয় করিয়া দিলেন এবং উহাই তাহাদিগকে বলিলাম । তাহারাও শুনিয়া পরম পরিতুষ্ট হইল । লোকের সহিত কথা বলিবার কালে ঐরূপ ছবিসকল সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হয় ।”

———– স্বামী সারদানন্দ ।

🍃🍃🍃🍃🍃🍃 জয় ঠাকুর 🍃🍃🍃🍃🍃🍃♦Taken from FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN🙏🏻

 


Spread the love

🌺🌿🌺 শ্রীমার লীলা🌺🌿🌺

Spread the love

সংগৃহীত।

|| ঘটন না অঘটন? ||
…………………………….

এক সাধুর মুখে শুনেছি, একটি সবজিওলা বর্ধমান স্টেশনে বসে ছিল, লোকাল ট্রেনে মাল নিয়ে কলকাতা আসবে বলে। মাল বলতে বিশেষ কিছু ছিল না সেদিনঘটন না অঘটন? – গজেন্দ্রকুমার মিত্র, কিছু শাক ছিল মাত্র। তার মধ্যে কচি চড়ুই শাক বা চাঁপানটেই প্রধান। পাশে বসে ছিলেন বৃদ্ধামতো মহিলা, পাড়াগাঁয়ে সদাকুণ্ঠিত জড়োসড়ো গোছের বয়স্কা একটি মেয়েছেলে। তিনি বারবারই সেই শাকগুলিতে হাত বুলিয়ে দেখতে লাগলেন, যেন স্পর্শেই ওদের স্বাদ অনুভব করছেন,আর মুখে বলতে লাগলেন:”বা: বা:, অনেকদিন এমন টাটকা শাক দেখি নি বাবা,তা যা বলব!”

বুড়ির রকমসকম দেখে মায়া হলো শাকওলার। বললে: “তা নাও না বুড়ি-মা, দু আঁটি তিন আঁটি-যা ইচ্ছে! স্বছন্দে নাও, পয়সা লাগবে না।”
মহিলা মাথা নেড়ে বললেন : “না বাবা, এখন নিতে পারব না। এখন ঘরকে যাচ্ছি না।”
তারপর একটু থেমে বললেন : “তুমি কোথায় যাবে বললে? শ্যামবাজারে যাও শাক বেচতে? তা বাবা যদি তোমার দয়া হয়, একদিন বরং আমার ঘরে দু-আঁটি শাক ফেলে দিয়ে এসো। যেদিন বাঁচবে-টাঁচবে-”
“আমি ঠিকানা পাব কোথায়?”
“কিছু না, শ্যামবাজারের বাজার থেকে বেরিয়ে একটু উওরে-বাগবাজার,সেই মুখে যেয়ে জিজ্ঞাসা করো, মার বাড়িটা কোথায়,কেউ না কেউ দেখিয়ে দেবেই-”
তা গিছল সে লোকটি। বাজারে যাবার আগেই গিছল। আলাদা করে চাঁপানটে একটা ছেঁড়া কাপড়ে বেঁধে নিয়ে। বাড়ি খুঁজে বের করতেও কোনো অসুবিধে হয়নি। কিন্তু মুশকিল হলো-লোকটি যখন বলল: “এই ঠিকানায় একটি বুড়ীমতো মেয়েছেলে থাকে, আমাকে বলেছেন একটু লটে শাক দিয়ে যেতে-তাই আমি এনেছি।”
সেটা আসলে মঠ, সাধুরা থাকেন। তাঁরা তো অবাক। “না বাপু, এখানে কেনো মেয়েছেলেটেলে থাকে না। দেখতে পাচ্ছ তো সাধুদের আস্তানা-এখানে মেয়েছেলে থাকবেই বা কেন? নিশ্চয় তোমার ভুল হয়েছে।”
তবু লোকটি বারবারই বলতে লাগল: “না, সে বুড়ী-মা আমাকে অনেক করে বলেছেন যে-”
বলতে বলতেই নজড়ে পড়ল, সিঁড়ির বাঁকে বিশ্বজননী সারদামণির নানা বয়সের ছবি-এক ফেমেই বাঁধানো-সে বলে উঠল: “বা: রে! এই তো। এই বুড়ী-মাই তো আমাকে লটে শাকের কথা বলেছেল- আপনারা বলছ তিনি এখানে থাকে না!”
সাধুরা তো অবাক! মাগো, তোমার দুটো শাক খাবার ইচ্ছে হয়েছিল তো আমাদের বলোনি কেন!

– গজেন্দ্র কুমার মিত্র

(ঘটনাটি মায়ের মহানিষ্ক্রমণেরও বহুদিন/ বছর বাদে ঘটেছিল।)

TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

 


Spread the love