<Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research ="https://gmpg.org/xfn/11"> Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research Sri Yoga Center Ashram's Blog - The Bengal flavour of Health Science,art and culture. - Page 2

বেলপাতা শিবকে কেন অর্চিত হয়?

Images (1) (17)
Spread the love

Images (1) (17)

হিন্দু ধর্মে শিবপূজা মানেই যেন বেলপাতা। আমাদের বাড়ির মন্দিরে, শিবলিঙ্গে বা মহাদেবের মূর্তিতে পূজা হলেই বেলপাতা ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন—কেন এই বিশেষ পাতাটিই দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে নিবেদন করা হয়? এর পেছনে রয়েছে প্রাচীন বিশ্বাস, আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা ও কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ।

 

বেলপাতা—ত্রিপত্রের রহস্য

বেলপাতা সাধারণত তিনটি পত্র একসঙ্গে থাকে। বিশ্বাস করা হয় এই তিনটি পাতা শিবের তিন শক্তিকে ধারণ করে—

সত্ত্ব, রজ, তম

ত্রিলোক—ভূ,ভুবঃ,স্বঃ

ত্রিনেত্র—শিবের তিন চোখ

তাই পূজার সময় এই তিন শক্তির সম্মিলন শিবের শক্তিকে আহ্বান করে বলে বিশ্বাস করা হয়।

 

বেল গাছ ও তান্ত্রিক বিশ্বাস

প্রাচীন তন্ত্র মতে, বেল গাছের কাণ্ডে দেবী লক্ষ্মী, পাতায় মহাদেব এবং ফলে দেবী মহাশক্তি অধিষ্ঠিত। তাই তান্ত্রিক পূজায় বেলপাতা অপরিহার্য।

 

শাস্ত্রে বলে—শিবের ক্রোধ শান্ত করে

পুরাণ মতে, সমুদ্র মন্থনের সময় যখন হলাহল বিষ বের হয়, তখন শিব তা পান করে বিষ ধারণ করেন। বিশ্বাস করা হয় বেলপাতা সেই তাপ, বিষের প্রভাব ও পিণ্ডের উত্তাপ কমাতে সাহায্য করে।

এ কারণেই শিবলিঙ্গে বেলপাতা নিবেদন করা হয় যেন ক্রোধ, অশুভ শক্তি ও অভিশাপ শান্ত থাকে।

 

ঔষধি শক্তি

বেলপাতায় রয়েছে—

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টি

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

কুলিং ইফেক্ট

এনার্জি পিউরিফিকেশন

অনেক প্রাচীন বৈদ্য বলে থাকেন— বেলপাতা শরীরের অতিরিক্ত উষ্ণতা, গ্যাসট্রিক সমস্যা ও পিত্ত দোষ কমায়।

 

শিবলিঙ্গে মানসিক এনার্জি ব্যালেন্স

বেলপাতা যখন জলে ডুবিয়ে শিবলিঙ্গে নিবেদন করা হয়, বিশ্বাস করা হয় তা আমাদের—

মানসিক উদ্বেগ

নেতিবাচক চিন্তা

রাগ
শান্ত করতে সাহায্য করে।

আসলে শিব মানেই “শান্তি”, আর বেলপাতা সেই শান্তির বার্তা বহনকারী প্রতীক।

 

দুর্বা নয়, বেলপাতাই কেন?

শিবের পূজায় বেলপাতা যেমন শুভ, ঠিক তেমন দুর্বা ব্যবহার নিষেধ। দু’বাটির সঙ্গে আগুনতত্ত্ব ও বেলপাতার সঙ্গে জলের শীতলতত্ত্ব একত্রে মিশে না। তাই ঐতিহ্যে বেলপাতাই প্রধান।

 

বেলপাতার বিশেষ নিয়ম

শাস্ত্র মতে—

পাতা ছিঁড়ে নয়, ডাঁটিসহ তুলতে হয়

শুকিয়ে গেলে ব্যবহার করা যাবে না

ছিদ্রহীন ও ফটোবিহীন পাতাই গ্রহণযোগ্য

বিশ্বাস করা হয় এতে পূণ্যের শক্তি অক্ষুণ্ণ থাকে।

 

আজও ঘরে ঘরে বেলপাতা—কারণ?

বর্তমান ঘরোয়া বিশ্বাস বলে—

• বাড়িতে নেগেটিভ ভাইব কমে
• শাক্চক্র পরিষ্কার থাকে
• কলহ কমে
• মানসিক শান্তি বাড়ে

অনেকে নিকটে বেল গাছ রাখলে— দরিদ্রতা, রোগ ও অশুভ শক্তির প্রভাব দূরে থাকে—এমন বিশ্বাস বহুকাল থেকে প্রচলিত।

 

বেলপাতা শিবপূজার শুধু “রীতি” নয়—এটি শক্তি, শান্তি ও সুরক্ষার প্রতীক। হাজার বছর আগের মতো, আজও আমরা ঘরে এর সুবাস ও আশীর্বাদ ধরে রেখেছি। ধর্মবিশ্বাস হোক বা আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান—বেলপাতা মহাদেবের কাছে অর্পিত এক অনন্য প্রণাম।

 

নিজের সংস্কৃতি নিজের ঘর।
চোখ রাখুন ব্লগে “শ্রীডক্টর”।


Spread the love

রত্নের জাদু: বিভিন্ন পাথর কিভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে

1606397805 5fbfaf6dba9f9 gemstone
Spread the love

 

1606397805 5fbfaf6dba9f9 gemstone

 

আদিকাল থেকেই মানুষ বিশ্বাস করে এসেছে, পৃথিবীর গভীরে লুকিয়ে থাকা পাথরগুলো শুধু অলংকার নয় — তারা জীবনের শক্তি ও ভাগ্য বদলানোর ক্ষমতা রাখে।
প্রাচীন ভারত, মিশর, গ্রীস — সব সভ্যতাতেই রত্নকে দেবশক্তির প্রতীক হিসেবে মানা হত।
আজও দেখা যায়, কেউ রুবি পরে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে, কেউ পান্না পরে মনোযোগ ফেরাতে, আবার কেউ নীলা পরে জীবনের স্থিতি খোঁজে।
কিন্তু সত্যিই কি এই পাথরগুলো মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে?

 

রত্নের শক্তির রহস্য

প্রাচীন জ্যোতিষ ও তান্ত্রিক মতে, পৃথিবীর প্রতিটি রত্নের নিজস্ব কম্পন বা ভাইব্রেশন আছে।
এই কম্পন মানুষের দেহের “চক্র” বা শক্তিকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
যখন কোনো রত্ন নির্দিষ্ট গ্রহের শক্তির সঙ্গে সুর মেলায়, তখন তা শরীর, মন ও ভাগ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ —

সূর্যের সঙ্গে যুক্ত রুবি আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব ও প্রাণশক্তি জাগায়।

চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত মুক্তো বা চাঁদনি পাথর মনকে শান্ত করে, মানসিক ভারসাম্য আনে।

নীলা (স্যাফায়ার) শনি-গ্রহের শক্তির প্রতীক; পরলে জীবনে স্থিতি আসে, কিন্তু ভুলভাবে পরলে সমস্যাও হতে পারে বলে বিশ্বাস।

 

কিছু জনপ্রিয় রত্ন ও তাদের প্রভাব

💎 রুবি (Manik):
সূর্যের শক্তির প্রতীক। আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্ব, খ্যাতি ও প্রাণশক্তি বাড়ায় বলে মনে করা হয়।

💎 পান্না (Panna):
বুধের সঙ্গে যুক্ত। বুদ্ধি, সৃজনশীলতা ও যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ায়। লেখক, শিক্ষক ও শিল্পীদের জন্য শুভ।

💎 নীলা (Neelam):
শনির পাথর। জীবনে স্থিতি, ধৈর্য ও পেশাগত উন্নতি আনে, কিন্তু সঠিকভাবে না পরলে উল্টো ফলও হতে পারে বলে বিশ্বাস।

💎 মুক্তো (Moti):
চন্দ্রের প্রতীক। মানসিক শান্তি ও সম্পর্কের সুরক্ষা আনে। আবেগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

💎 পোখরাজ (Pukhraj):
বৃহস্পতির শক্তি বহন করে। জ্ঞান, সৌভাগ্য ও আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক। শিক্ষক ও গুরুমনস্কদের জন্য শুভ।

💎 গারনেট (Gomed):
রাহুর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ দূর করে, মনোযোগ ফিরিয়ে আনে।

💎 ক্যাটস আই (Lehsunia):
কেতুর সঙ্গে যুক্ত। আত্মরক্ষা, অন্তর্জ্ঞান ও রহস্য উপলব্ধির পাথর।

 

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে

বিজ্ঞান রত্নের আধ্যাত্মিক প্রভাবকে পুরোপুরি স্বীকার করে না,
কিন্তু অনেক গবেষক মনে করেন — প্লাসিবো ইফেক্ট, অর্থাৎ বিশ্বাসের শক্তিই এখানে কাজ করে।
অর্থাৎ, যদি কেউ বিশ্বাস করে যে কোনো রত্ন তার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে,
তাহলে সেই বিশ্বাস থেকেই মানসিক ভারসাম্য ও ইতিবাচক শক্তি জাগে —
এটাই রত্নের “অদৃশ্য শক্তি”-র বাস্তব রূপ।

 

আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা

আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে রত্নগুলো আসলে প্রকৃতির ভাষা।
প্রতিটি রঙ, আলো, ও শক্তি এক একটি গ্রহের প্রতীক।
রত্ন পরা মানে প্রকৃতির নির্দিষ্ট শক্তির সঙ্গে নিজের মন ও শরীরকে সুরে বাঁধা।
তাই বলা হয়, “সঠিক রত্ন সঠিক মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে।”

 

রত্নের প্রভাবকে কেউ বিশ্বাস করে, কেউ প্রশ্ন তোলে।
কিন্তু একথা অস্বীকার করা যায় না যে,
প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান, প্রতিটি রঙ ও কম্পন মানুষের মনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
তাই হয়তো রত্ন শুধু গয়না নয় —
এটি মানুষের আশা, বিশ্বাস ও মহাজাগতিক শক্তির সংযোগের প্রতীক।

 

নিজের সংস্কৃতি নিজের ঘর।
চোখ রাখুন ব্লগে “শ্রীডক্টর”।

 


Spread the love

যমুনার হাতের সেই প্রথম ফোঁটা: এক প্রাচীন ঐতিহ্য, যা আজও আমদের ঘরে ঘরে

Bhaiphota
Spread the love

Bhaiphota

 

ভাইফোঁটা—একটা ছোট্ট ফোঁটা, কিন্তু তার ভেতর লুকিয়ে আছে হাজার বছরের ঐতিহ্য, ভালোবাসা আর আশীর্বাদের শক্তি। এই রীতির শিকড় খুঁজলে আমরা পৌঁছে যাই দেবলোকের এক হৃদয়স্পর্শী কাহিনির দিকে, যেখানে শুরু হয়েছিল ভাই-বোনের এই চিরন্তন বন্ধনের গল্প।

 

ভাইফোঁটার আধ্যাত্মিক দিক : যম ও যমুনার কাহিনি

পুরাণ অনুসারে, সূর্যদেব ও ছায়াদেবীর দুই সন্তান ছিলেন—যম (মৃত্যুর দেবতা) ও যমুনা (এক পবিত্র নদীর দেবী)।
দীর্ঘকাল যম তার বোন যমুনার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। একদিন যমুনা তাঁর ভাইকে আন্তরিকভাবে নিমন্ত্রণ করেন, এবং যম অবশেষে তাঁর বাড়িতে যান।

যমুনা সেদিন স্নান করে পবিত্রভাবে পুজো সেরে ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেন, দুর্বা ও প্রদীপ জ্বালিয়ে আশীর্বাদ করেন তাঁর দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায়।
যম এই ভালোবাসায় এতটাই আপ্লুত হন যে, তিনি প্রতিশ্রুতি দেন—যে দিন বোন ভাইকে স্নেহভরে ফোঁটা দেবে, সেদিন মৃত্যুর কোনো ভয় থাকবে না।

পুরাণ অনুযায়ী উৎপত্তি 

ভাইফোঁটার উৎস খুঁজে পাওয়া যায় স্কন্দপুরাণ ও ভবিষ্যপুরাণ-এর কাহিনিতে। সেখানে বলা হয়েছে, মৃত্যুর দেবতা যম একদিন দীর্ঘ সময় পর তাঁর বোন যমুনা-র সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বোন স্নেহভরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে কপালে ফোঁটা দেন এবং তাঁর দীর্ঘায়ুর কামনা করেন।

যম খুশি হয়ে বলেন, “আজকের দিন থেকে যে বোন তার ভাইকে স্নেহভরে ফোঁটা দেবে, তার ভাই অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাবে।” সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি, যাকে আজ আমরা ভাইফোঁটা বা যমদ্বিতীয়া নামে জানি।

এই বিশ্বাস থেকেই আজও ভাইফোঁটার দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেন, যেন ভাই সুস্থ, দীর্ঘায়ু ও অমঙ্গলমুক্ত থাকেন।

 

ভাইফোঁটার প্রাচীন উৎস: স্নেহ ও সুরক্ষার প্রতীক

পরে এই দেবলোকীয় বিশ্বাস ক্রমে মানুষের সমাজে প্রবেশ করে। প্রাচীন আর্য সমাজে বোনেরা তাদের ভাইদের যুদ্ধে যাওয়ার আগে চন্দন বা হলুদের ফোঁটা লাগিয়ে আশীর্বাদ দিতেন—“অমঙ্গল দূর হোক, তুমি নিরাপদে ফিরে আসো।”
এই আশীর্বাদ ও আধ্যাত্মিক রীতিই ক্রমে আজকের ঘরোয়া ভাইফোঁটার রূপ নিয়েছে।

 

ভাইফোঁটার প্রতিটি উপকরণের গভীর অর্থ

প্রতিটি উপকরণের পেছনেই আছে এক একটি বিশ্বাস, এক একটি আর্শীবাদ—

🔸 চন্দন – শান্তি ও শুদ্ধতার প্রতীক

চন্দনের ফোঁটা ঠান্ডা, প্রশান্তি দেয়, আর নেতিবাচক শক্তি দূর করে। বোনের দেওয়া চন্দনের ফোঁটা যেন ভাইয়ের জীবনে শান্তি ও স্থিরতার আশীর্বাদ।

🔸 দুর্বা ঘাস – দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ

দুর্বা প্রাচীনকাল থেকেই অমরত্বের প্রতীক। বোনেরা বিশ্বাস করেন, দুর্বা দিয়ে ফোঁটা দিলে ভাইয়ের জীবনে দীর্ঘায়ু ও সৌভাগ্য আসে।

🔸 সিঁদুর বা রক্তচন্দন – স্নেহের রং

লাল রং জীবনের, ভালোবাসার এবং রক্তের প্রতীক। বোনের এই ফোঁটা বোঝায়—ভাই তার হৃদয়ের এক অংশ।

🔸 মিষ্টি – মধুর সম্পর্কের প্রতীক

ফোঁটার পর ভাইকে মিষ্টি খাওয়ানো মানে, জীবনের সব তিক্ততা দূর করে সম্পর্ক যেন মিষ্টিতে ভরে থাকে।

🔸 প্রদীপ – আলো ও শক্তির প্রতীক

প্রদীপ জ্বালানো হয় অশুভ শক্তি দূর করতে। আলো যেমন অন্ধকার দূর করে, তেমনি বোনের ভালোবাসা ভাইয়ের জীবনের ছায়া দূর করুক—এই বিশ্বাস আজও বহমান।

🔸 ডালা বা থালা – ঐশ্বর্যের প্রতীক

ফোঁটার সাজানো থালা বা ডালা পূর্ণতার প্রতীক। এতে থাকে ফোঁটার সমস্ত উপকরণ—চন্দন, দুর্বা, প্রদীপ, মিষ্টি—যা সমৃদ্ধি ও শুভ শক্তির প্রতীক।

 

এক প্রথা, যা কালের স্রোতেও অমলিন

সময় যতই বদলাক, ভাইফোঁটার মর্মবস্তু বদলায় না। ডালা বদলে থালা, চন্দনের বদলে তিলক—তবু ভালোবাসার সেই এক ফোঁটা এখনও ভাই-বোনের চিরন্তন বন্ধনের প্রতীক হয়ে আছে।

 

ভাইফোঁটা কেবল একটি উৎসব নয়—এটি সম্পর্কের গভীর আবেগ, আস্থা ও সুরক্ষার প্রতীক।
যমুনার দেওয়া সেই প্রথম ফোঁটার মতোই, প্রতিটি বোনের হাতে আজও থাকে একই প্রার্থনা—“তুমি সুখে থাকো, অমঙ্গল তোমার কাছেও না আসুক।”

 

নিজের সংস্কৃতি নিজের ঘর।
চোখ রাখুন ব্লগে “শ্রীডক্টর”।


Spread the love