Cherry is not a local fruit here. But we have cultivated it. It is easily growing. Have a look in the linked video. Please don’t forget to leave a comment.
আমার শ্রী সংসারের ঈশ্বরীও কথা,,,,শ্রী রাখী মুখোপাধ্যায়।
আমার ভাবনা,,,,৩,
শ্রীরাধাষ্টমী ব্রত বা গোয়ালাষ্টমী ব্রত।
বাঙালী র বারোমাসে তেরো পার্বন।সেই রকম এক উৎসব হলো রাধাষ্টমী বা গোয়ালাষ্টমী ব্রত।পশ্চিম বঙ্গ তথা ভারতবর্ষেও এই উৎসব পালন করা হয়।ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মা রাধিকা র জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালন করা হয়।বাংলায় এই পূজোকে গোষ্ঠাষ্টমী বা গোয়াল অষ্টমী বলে পূজো করা হয়।এবং ওখানে মা লক্ষীর পূজো করা হয়।
ব্রতকথা,,,, এই ব্রততে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রী রাধার মিলনের সম্পর্কে কাহিনী আছে।সূর্য দেব একবার গভীর তপস্যা য় মগ্ন হলেন।তখন পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেলো।তাই দেখে দেবতারা ত্রাহি ত্রাহি রব করে নারায়ণের কাছে ছুটে গেলো।নারায়ণ সূর্যের কাছে গিয়ে ,তাকে বললেন বর প্রার্থনা করতে।তিনি বললেন স্বয়ং মা লক্ষী যেন তার মেয়ে রূপে জন্ম নেয় আর নারায়ণ ও যেন তার বশবর্তী হয়ে থাকে।তথাস্তু বলে নারায়ণ অন্তর্হিত হলেন।যথাসময়ে সূর্যদেব বৃন্দাবনে বৃষভানু রূপে জন্ম গ্রহণ করলেন ও তাঁর স্ত্রী কৃত্তিকার গর্ভে মা লক্ষী রাধারূপে জন্ম গ্রহণ করলেন।বয়স বাড়ার সাথে সাথে শ্রী কৃষ্ণের প্রেমে পড়লেন।আয়ান ঘোষের সঙ্গে বিয়ে হলেও কৃষ্ণ কেই সে সবকিছু অর্পণ করেছিল।
ব্রতফল,,,,লক্ষ বার কৃষ্ণনাম জপ করলে যে ফল হয়,একবার রাধে রাধে বা রাধাকৃষ্ণ জপ করলে তার চেয়ে বহু লক্ষগুণ ফল হয়।
নানাবিধ ফলমূল, নৈবেদ্য,মিষ্টান্ন সহযোগে মা রাধামায়ের পূজার্চনা করা হয় এই পূজোয়।।।।
ধ
আমার শ্রী সংসারের ভ্রমণ কথা,,,,,,,শ্রী রাখী মুখোপাধ্যায়।
আমরা বাঙালি রা খুব ভ্রমন পিপাসু।কোথাও না কোথাও বেড়াতে যেতেই হবে।বরের দৌলতে বছরে কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাওয়া হয়েই যায়।এই বছর ও তেমনি বলল ,চলো আমরা সবাই মিলৈ দিল্লী, আগ্রা ,মথুরা ,বৃন্দাবন এই সব দর্শনীয় স্হান ঘুরে আসি।আমার মেয়েরা ও তো একলাফে রাজী।ব্যস্ আমরা সবাই মিলে বাড়ির সকলকে নিয়ে বেড়াতে যাবার জন্য ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছোলাম।সকালের ট্রেন ছিল।বর্ধমান স্টেশনে এসে দেখি ভিড় ভিড় করে কতো শ্বেতাঙ্গ বিদেশি রাও আমাদের রিজার্ভেশন্ ট্রেনে উঠলো।কি বড়ো বড়ো তাদের ব্রিফকেশ্।বড়ো বড়ো বীর পালোয়ান লাগবে এইগুলো কে ট্রেনে তুলতে।গতকাল তো হোলি ছিল।খুব করে রঙ মেখে আনন্দ করেছিলাম।এখনও রঙ ওঠেনি সব।তাতে কি?যাই হোক,আমরা বর্ধমানে ট্রেনে চেপে র ওনা দিলাম প্রথমে দিল্লী র উদ্দেশ্যে।সারারাত ট্রেনটি কু,,,ঝিকঝিক গতিতে চলতে লাগলো।ঘুম তো আসে না।ট্রেনের কামরার জানালা দিয়ে শুধু ই রাতের শহরগুলোকে দেখতে খুব ভালো লাগে।মনে হয়,যেন তারাও আমাদের সঙ্গে ও ট্রেনের সঙ্গে ছুটে চলেছে।কত রঙবেরঙের আলোর রোশনাই।দারুন লাগে দেখতে।সকালবেলায় আমাদের ট্রেন থামলো নিউ দিল্লী স্টেশনে।ওখান থেকে আমরা গেলাম দিল্লী র করোলাবাগের ভারত সেবাশ্রম এ।খুব সুন্দর এই আশ্রম।কি নিয়মানুবর্তিতা।পাশেই ছিল এয়ারপোর্ট।মাথার ওপর দিয়ে সাঁ,,,সাঁ শব্দে অনবরত পেরিয়ে যাচ্ছি লো প্লেনগুলো।আমাদের ছেলেমেয়েরা তো অনবরত গুনছিলো সারাদিনে কতগুলো প্লেন যাচ্ছি লো।তারা খুব মজা করছিলো।আবার ঐ আশ্রমে ছোট্ট ছোট্ট কমলালেবুর গাছ ও হরেক রকমের ফুল ফলের গাছ ছিল।আমাদের সবার খুব ভালো লেগেছে ঐখানে।মেট্রোপলিটন এ এই রকম আশ্রম ,সত্যিই ভাবা যায় না।দুপুরে আমরা গেলাম অক্ষরধাম দেখতে।দারুন লাগলো সেখানে।কতো কারুকার্য ও সুবিশাল এড়িয়া জুড়ে এই মন্দির ।
তারপরের দিন ওখান থেকে আমরা গেলাম মথুরা ও বৃন্দাবন দর্শনে।মথুরা য় শ্রী কৃষ্ণের জন্মস্হান কংস মামার কারাগার ও যমুনা নদী দর্শন ও স্পর্শন করলাম।ওখান থেকে আমরা গেলাম বৃন্দাবন এ শ্রীকৃষ্ণ রাধার লীলাক্ষেত্র দর্শনে।অসংখ্য বিভিন্ন রকমের কারুকার্য করা মন্দির ,যা দেখে বা গুনে শেষ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।তবে সবচেয়ে সেরা প্রেমমন্দির ,অপূর্ব, অনবদ্য ।সকাল থেকেসন্ধ্যা পর্যন্ত সব আশ্রম ও মন্দিরে অহরহ হরিনাম হচ্ছে। আর সেখানকার আকাশে বাতাসে শুধু হরিধবনি অনুরণিত হচ্ছে।ওখানে আছে শ্রীকৃষ্ণ রাধার প্রেম লীলাক্ষেত্র ,,,,নিধুবন,নন্দগৃহ,বাঁকেবিহারী জি র মন্দির।আরো কত শত দেখবার জায়গা।খানিকদূরে আছে গিরিগোবর্দ্ধন পর্বত,যেখানে কৃষ্ণ সমগ্র মথুরা বৃন্দাবন বাসীকে এককাছে সমাহিত করে ইন্দ্রের বজ্র ও বৃষ্টিপাত যুদ্ধের হাত থেকে গ্রামবাসী কে বাঁচিয়ে ছিলেন।ওখানে এখনও ময়ূর ও হরিণ দেখতে পাওয়া যায়।এছাড়া গোটা মথুরা ও বৃন্দাবনে প্রচুর গাভী ও বাঁদর দেখতে পাওয়া যায়।ওখানকার বসবাস কারীরা নিরামিষ খান ,তার সঙ্গে ওখানে দুধ,দ ই,মাখন,পেঁড়া,ও আরো নানান রকমের মিষ্টি জাতীয় খাবার ওখানে উৎপন্ন হয়।ওখানে আর একটা জিনিস আমার খুব ভালো লেগেছে ,সেটা হলো মানুষের ব্যবহার, আর তারা অহরহ রাধা নামে বিভোর।রাস্তায় কোন পথচারী কে সরে যেতে হলে ,বলে না যে,একটু সরে যান,তারা বলে,”রাধে রাধে”।কথিত আছে এখনও নাকি গভীর রাতে রাধা কৃষ্ন নিধুবনের মন্দিরে এসে সারারাত ধরে প্রেমলীলা ক’রে,শৃঙ্গার গ্রহন ক’রে,।আর সকালে পুরোহিত মশাই মন্দিরের গেট খুলে আজও নাকি দেখতে পান,খাটবিছানায় সব আলুথালু ভাবে ছড়ানো ছিটানো।অদ্ভূত সব ব্যাপার।তবে ওখানে গিয়ে আমার ও একটু মনে একটা বেশ শান্তি হয়েছিল।ওখান থেকে দিল্লীতে ফিরে এসে আমরা দিল্লির মহাত্মা গান্ধীর ও ইন্দিরা গান্ধীর সমাধি,ওমিউজিয়াম,রাজীব গান্ধী র মিউজিয়াম, রাষ্ট্রপতি ভবন,লালকেল্লা,ইন্ডিয়া গেট,প্রধান মন্ত্রীর ভবন ,পার্লামেন্ট ,দিল্লি ফোর্ট,ও আরো অনেক কিছু দেখলাম।দেখে তো শেষ করা যায় না।কতকিছু যে রয়ে গেল বাকী।তারপরের দিন আমরা গেলাম আগ্রায়।ওখানে তাজমহল দেখে তো অভিভূত হয়ে গেলাম।কী কারুকার্য, নিপুন দক্ষতা র সাথে বানানো।আর একটাও ঐই রকম হবে না।তাই তো পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য।ওখান থেকে আমরা গেলাম আগ্রা ফোর্ট দেখতে।যেটি সম্রাট আকবর তার প্রিয় পত্নী যোধাবাঈয়ের জন্য বানিয়ে ছিলেন।সেখানে দেওয়া ন ই খাস ও দেওয়ান ই আম সভা বসতো,তার পাশেই ছিল দিল্লির বিখ্যাত মিনা বাজার। জাহাঙ্গীর বানিয়ে ছিলেন প্রাকৃতিক এসি ঘর,আবার সাজাহান বানিয়ে ছিলেন দুটি পালকি ঘর,তার দুই মেয়ের জন্য, গোটা আগ্রা ফোর্ট এর বেশী রভাগ মহল গুলি ছিল সোনা ,হিরে ,মাণিক ,চুনী পান্না ,ইত্যাদি দিয়ে খচিত, যেগুলি বিভিন্ন উপনিবেশিক জাতিও ইংরেজরা লুন্ঠন করে নিয়ে গেছে।আর এই সমস্ত ফোর্ট টি পুরো জামিতিক আকারে বানানো।ওখান থেকে যমুনা নদীর পাড় বরাবর ধরে গেলে সোজা চলে যাওয়া যাবে আগ্রার তাজমহল।এটা নিয়ে তো কিছু বলার নেই।সবাই জানেন।তাজমহলের গোটাটাই দেখবার।অসম্ভব সুন্দর কারুকার্য খচিত দেওয়াল।বিভিন্ন দূর্মূল্য রত্নখচিত ছিল।যেগুলি এখন আর নেই।অসংখ্য জাফরি আছে ওখানে।অদ্ভুত সুন্দর।আরো কত কি,বিভিন্ন ফোর্টে ও তাজমহলে লাইট এন্ড সাউন্ড হয়।সেটাও দেখবার।এরপর আমরা দিল্লীর লোটাস্ টেম্পলে গিয়েছিলাম।সেও এক আশ্চর্য।দেখবার জিনিস।গোটাটাই শ্বেতপাথরের তৈরী এক পদ্মফুল এর মতো দেখতে।তার গহ্বরে আছে ধ্যানাগার।কিছু ক্ষণ ওখানে চোখবন্ধ করে বসলে মন আপনা আপনি ই শান্ত হয়ে যায়।এছাড়া ও দিল্লীতে আরো অনেক অনেক কিছু দেখা র আছে।যেগুলো আমার ও বলা যহয় নি বা দেখা হয় নি।আগ্রা ,মথুরা ,বৃন্দাবনেও ও এক ই অবস্থা।এরপর আমরা বাড়ি ফেরার গন্তব্য স্হলে র উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।কতকিছু দেখা,কতকিছু জানা রয়ে গেলো বাকী।এই জন্মে তা কি আর সম্ভবপর হবে????স্বয়ং বিধাতাপুরুষ ই জানেন।