মাতৃ অনুধ্যান :
**************
শ্রীশ্রীমায়ের পূজার বৈশিষ্ট্য :
**************************
শ্রীশ্রীমায়ের পূজার একটি উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য ছিল আড়ম্বরহীনতা। পূজা সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক ভেদে তিন প্রকার। সাত্ত্বিক পূজায় কোন আড়ম্বরের প্রয়োজন হয় না। এই পূজায় কোন কামনা নেই, প্রেম-ভক্তিই হলো এই পূজার আসল উপকরণ। শ্রীমদ্ভগদ্ গীতায় বলা হয়েছে :
অফলাকাঙ্ক্ষিভির্যজ্ঞো বিধিদৃষ্টো য ইজ্যতে।
যষ্টব্যমেবেতি মনঃ সমাধায় স সাত্ত্বিকঃ।।
কোনরূপ ফলের আকাঙ্খা না করে শাস্ত্রবিধি অবলম্বনে শুধু পূজার জন্য যে পূজা তাই-ই সাত্ত্বিক পূজা। ভগবান আরও বলেছেন :
পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।
তদহং ভক্ত্যপহৃতমশ্নামি প্রযতাত্মনঃ।।
ফল, ফুল, জল, পাতা ইত্যাদি যে আমাকে ভক্তির সঙ্গে অর্পণ করে শুদ্ধচিত্ত সেই ভক্তের উপহৃত বস্তু আমি গ্রহন করি।
শ্রীশ্রীমায়ের পূজাও ঐরূপ ছিল। তিনি পরম ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে ঠাকুরের পূজা করতেন। বেশী সময় নিয়ে জাঁকজমক করে পূজা করতেন না। ঠাকুরের আসনের নীচে কমণ্ডলুতে গঙ্গাজল থাকত। তার আশেপাশে চন্দনকাঠ, চন্দনপিঁড়ি, পঞ্চপাত্রও দু-একটি পূজার উপকরণ থাকত। শ্রীশ্রীমা সকাল প্রায় নয়টা নাগাদ সব কাজ সেরে পূজায় বসতেন। জয়রামবাটীতে ফুলের অভাবে তিনি তুলসী পাতা ও জল দিয়েই নির্দ্বিধায় পূজা করতেন। শ্রীশ্রীমা তুলসীকে অতি পবিত্র মনে করতেন। বলতেন, ” তুলসী-স্পর্শে সব শুদ্ধ হয়।”
তুলসী মাহাত্ম্য স্মরণ করেই হয়তো শ্রীশ্রীমা প্রতিদিন পূজার পর ঠাকুরকে নিবেদিত তুলসী প্রসাদ-স্বরূপ গ্রহন করতেন।
————স্বামী প্রমেয়ানন্দ।
TAKEN FROM FACEBOOK
PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN