#লোকজননী
সমাজে যারা অবহেলিত কিংবা নিজকৃত অপরাধের জন্যই লোকের চোখে হেয়, মায়ের স্নেহ থেকে তারাও বঞ্চিত হত না। কারণ, মায়ের ভালবাসায় ভালবাসার পাত্রের দোষ-গুণের হিসাব কখনও স্থান পেত না ।তাই মাতাল পদ্মবিনোদ যখন প্রতি রাতে এসে মায়ের জানালার নীচে দাঁড়িয়ে গান ধরেন ওঠ গো করুণাময়ি, খোল গো কুটির দ্বার’—মা তাঁকে দর্শন না দিয়ে পারেন না।” কিংবা গ্রামের এক বালবিধবা যখন ক্ষণিকের ভুলে গায়ে কলঙ্ক মেখে বসে, তখন সারা গ্রাম নিন্দায় মুখর হয়ে উঠলেও মা নীরবে প্রার্থনা জানিয়ে যান যাতে ভগবান ‘দুঃখিনী’র দিকে মুখ তুলে চান। দৈবক্রমে মায়ের কৃপাপ্রাপ্ত এক জমিদার-সন্তান ঘটনাটির মিটমাট করে দিলে মা তাঁকে আশীর্বাদ করে বলেছিলেন: ‘বাবা! দুঃখিনীকে বাঁচিয়ে দিয়েছ, রক্ষা করেছ, শুনে আমার প্রাণ ঠাণ্ডা হয়েছে। ভগবান তোমার মঙ্গল করবেন।’ স্বামী সারদেশানন্দ এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন : ‘যাহাদের আমরা অতি অধম বলিয়া ঘৃণা করি, তাহাদেরও ভালবাসিয়া তাহাদের বিপদের সময় এই সমবেদনা, এই অপার স্নেহ জগজ্জননী ছাড়া, “জন্ম-জন্মান্তরের মা”, “সতেরও মা, অসতেরও মা” ছাড়া আর কে দেখাইতে পারে ! শ্রীমা সত্যিই পারতেন, পাপকে ঘৃণা করেও ‘পাপী’কে কোলে টেনে নিতে।
❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️❣️
শ্রীমার স্নেহ-ভালবাসা যেমন পাত্র-অপাত্র নির্বিশেষে সমানভাবে প্রবাহিত হত, অপরদিকে মায়ের প্রতিটি সন্তানও অনুভব করতেন, মা যেন তাঁকেই সবচেয়ে বেশী ভালবাসেন। জনৈক ভক্ত মায়ের বাড়িতে এসে প্রসাদ পাচ্ছেন। একই সঙ্গে খেতে বসেছেন আরও জনা পনেরো ভক্ত। মা নিজে পরিবেশন করছেন সবাইকে। ভক্তটির মনে হয় : এত জন ভক্তের মধ্যে মা যেন তাঁকেই সবচেয়ে বেশী যত্ন করে খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু খাওয়া হয়ে গেলে অন্য ভক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানলেন যে, প্রত্যেকেরই মনে হয়েছে যে মা তাঁকেই বেশী যত্ন করেছেন।
🌼🌼🌼🙏🙏🙏🌼🌼🌼
করুণাময়ী জননী আমার প্রণাম তোমার শ্রীচরণে
# TAKEN FROM FACEBOOK
#published by Shruti Adhya Kundu marketing officer of SYCN.