🌼🌿 কথায় স্বামী বিবেকানন্দ🌼🌿

অনেকে বলে মূর্তি পূজা কেন করে?

উত্তর দিলেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ, এর উত্তর তর্ক না করে আমাদের উচিত যুক্তি দিয়ে বোঝানো

বহু কাল আগে এক রাজা স্বামী বিবেকানন্দ এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন আপনারা কেন মূর্তি পূজা করেন ? আমি বুঝি না পুতুলের মধ্যে আপনারা কি এমন দেখেন যে পূজা করতে হবে?

স্বামী বিবেকানন্দ তখন বুঝতে পারেন যে রাজা তাকে অপমান করার চেষ্টা করছে । তিনি বুঝলেন তর্কে গেলে চলবে না । তাই তিনি যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেন ।

স্বামী বিবেকানন্দ তখন রাজার দেওয়াল থেকে তার স্বর্গীয় পিতার ছবি নিয়ে এসে রাজাকে বললেন এই ছবিতে থুতু নিক্ষেপ করতে। তখন রাজা রেগে গিয়ে বললেন এটা আমার বাবার ছবি। আমি কিভাবে এই ছবির উপর থুতু নিক্ষেপ করবো?

তখন স্বামীজী বললেন কেন পারবেন না,এটা তো নিছকই একটা কাগজের তৈরি ছবি।
স্বামী বিবেকানন্দ তখন বললেন আপনি আপনার স্বর্গীয় পিতার ছবিতে থুতু নিক্ষেপ করতে পারেন নি, কারণ আপনি বিশ্বাস করেন এই ছবির মধ্যে আপনার পিতা অবস্থান করেন । আপনি তাকে ভালোবাসেন আর সম্মান প্রদর্শন করেন তাই তার ছবিতে থুতু নিক্ষেপ করতে পারেন নি।

ঠিক তেমনি আমরা হিন্দুরা বিশ্বাস করি, ঈশ্বর মূর্তি বা ছবির মধ্যে অবস্থান করেন এবং আমাদের সকল দুঃখ গ্লানি মুছে দেন। ঈশ্বর নিরাকার,আমরা মূর্তির মাধ্যমে সাকার রূপের উপাসনা করি। এই মূর্তিতে আমরা ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে পারি, যেমন ভাবে আপনি আপনার স্বর্গীয় পিতার ছবিতে আপনার পিতাকে উপলব্ধি করেন ।

রাজা তার ভুল বুঝতে পারে এবং হাত জোড় করে স্বামী বিবেকানন্দ এর কাছে তার ভুল স্বীকার করে।

((সংগৃহীত))

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

🌺SWAMI VIVEKANANDA 🌺

“আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—সব অনুশাসনের,
সব বিধানের বাইরে যাওয়া। এটাই সন্ন্যাসীর আদর্শ ভাবের বিশেষতঃ। আমাদের গুরুদেবের এক অর্থপূর্ণ বাণী আমি এখনাে মনে করতে পারি : ‘যদি তােমার পায়ে কাঁটা ফুটে থাকে, তখন আর-একটি কাঁটা
যােগাড় করার উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে, যার সাহায্যে তুমি প্রথম কাঁটাটা তােলার চেষ্টা করবে। কিন্তু যেই কাঁটা তোলা হয়ে যাবে তখন আর তােমার সংগ্রহ করা কাঁটাটা রাখার কোন প্রয়ােজন নেই। সমস্যা থেকে যখন তুমি মুক্তি পেয়েছ, তখন তুমি দুটোই ফেলে দিতে পার।
অনুশাসনের লক্ষ্য ও প্রয়ােজন এইরকমই। তােমাকে সমস্ত অনুশাসনের বাইরে যেতে হবে, সমস্ত বিধি- নিষেধের বাইরে।
তুমি চিরমুক্ত আত্মা শুদ্ধ ও অমর; অন্তরাত্মার যথার্থ স্বাধীনতা ও পবিত্রতার দ্বারা প্রাণিত হয়ে তােমাকে এক স্বাধীন ইচ্ছামূলক জীবন যাপন করতে হবে। কিন্তু বাছারা, দুর্ভাগ্যবশত বর্তমানে তােমরা কিছু অশুভ সংস্কারের বশীভূত-তােমাদের জীবন কিছু কু- নিয়মনীতি, কিছু কু-অভ্যাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নিজেকে কু-স্বভাব থেকে মুক্ত করার জন্যে অশুভ
নিয়মের এই কাঁটাটা তােলার জন্য আপাতত কিছু সু-নিয়মের অধীনে থাক। কিন্তু সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, চুড়ান্ত পর্যায়ে তােমাকে এই দুয়ের বাইরে যেতে হবে।”
বক্তা: স্বামী বিবেকানন্দ।
শ্রোতা এবং উপস্থাপক: স্বামী শুদ্ধানন্দ।

সুধীর মহারাজ, ১৮৭২ সালে কলকাতায় তার জন্ম হয়। তার পিতার নাম ছিল আশুতােষ চক্রবর্তী। তার পিতৃদত্ত নাম ছিল সুধীরচন্দ্র চক্রবর্তী। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত সিটি কলেজে পড়াশােনা করেছিলেন। ১৮৯৭ সালে প্রায় ২৫ বৎসর বয়সে, তিনি আলমবাজার মঠে যােগ দেন। তিনি সাধু হতে চাওয়ায় তাঁর বাবা ঘরে তালাবন্ধ করে রাখেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দের কাছ থেকে মন্ত্র দীক্ষা পেয়েছিলেন। সুধীর মহারাজ খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন।
১৮৯৭ সালে স্বামীজী কলকাতায় ফিরে এলে সুধীর মহারাজ (স্বামী শুদ্ধানন্দ) কলেজের ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর গাড়ি টানেন।
১৯০৩ সালে তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশনের ট্রাস্টি নিযুক্ত
করা হয়। ১৯২৬ সালে মিশনের প্রথম সন্ন্যাসী সম্মেলন
আয়ােজনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। তিনি খুব রসিক মানুষ ছিলেন। বলতেনঃ
‘আমরা সব রামকৃষ্ণের চেলা।
বুক ফুলিয়ে বলা
কেবল ভান্ডারা খাবার বেলা।’

“Our aim is to go beyond all laws.–
beyond all rules and regulations. That
is the ideal-specially of a Sannyasin.
Still I remember a pregnant saying of
our Master: ‘If you are pricked by a thorn, it is advised that another thorn
should be secured with which you will
try to extricate the former. But as soon as it has been done, there is no need of keeping the thorn you have procured. You may throw away both as you have got rid of the trouble.’
Similar is the scope and necessity of
rules and regulations. You have to go beyond all laws beyond all rules and regulations. You are Atman ever free, blessed and eternal; you are to live a spontaneous life, urged by the perfect freedom and the purity of spirit. But, my children, unfortunately you are at present under some bad laws—bad rules and regulations of your life; you are under the sway of some bad habits. In order to extricate yourself from your evil nature this thorn of bad laws- let there be framed some good laws for the pre-
sent; but always remember that you are
ultimately to go beyond them both.”

Speaker: Swami Vivekananda.
Listener and Presenter: Swami Suddhananda.
Sudhir Maharaj was born in 1872 in Kolkata. His father’s name was Ashutosh Chakraborty. His paternal name was Sudhir Chandra Chakraborty. He studied at City College under Calcutta University. In 1897, at the age of about 25, he joined the Alambazar monastery. He wanted to be a saint, so his father locked him inside the house. He received mantra initiation from Swami Vivekananda. Sudhir Maharaj was a very simple man. Swamiji, in 1897, returned to Calcutta, Sudhir Maharaj (Swami Suddhananda) pulled his car with other college students. In 1903 he was appointed trustee of the Ramakrishna Mission. In 1926 He played an important role in organizing The first monastic conference of the mission.TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.