🌺🌻🌺 শ্রীরামকৃষ্ণ🌺🌻🌺

🍃🍃🍃 শ্রীরামকৃষ্ণকে যেরূপ দেখিয়াছি 🍃🍃🍃

ঠাকুর বলিতেন, “মার উপরে যে একান্ত নির্ভর করে, মা তাহার অন্তরে বসিয়া যাহা বলিতে হইবে, তাহা অভ্রান্ত ইঙ্গিতে দেখাইয়া বলাইয়া থাকেন, এবং স্বয়ং শ্রীশ্রীজগদম্বা ঐরূপ করেন বলিয়াই তাহার জ্ঞানভাণ্ডার কখনও শূন্য হইয়া যায় না । মা তাহার অন্তরে জ্ঞানের রাশি ঠেলিয়া দিয়া সর্বদা পূর্ণ করিয়া রাখেন । সে যতই কেন ব্যয় করুক না, উহা কখনও শূন্য হইয়া যায় না ।” বিষয়টি বুঝাইতে যাইয়া একদিন তিনি একটি ঘটনার উল্লেখ করেন ———
দক্ষিণেশ্বর কালীবাটীর উত্তর পার্শ্বেই ইংরেজদের বারুদ-গুদাম নিয়ত পাহারা দিবার জন্য কতকগুলি সিপাহী থাকিত । উহারা সকলে ঠাকুরকে অতিশয় ভক্তি করিত এবং কখনও কখনও তাঁহাকে তাহাদিগের বাসায় লইয়া যাইয়া ধর্মবিষয়ক নানা প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া লইত । ঠাকুর বলিতেন, “একদিন তাহারা প্রশ্ন করিল, ‘সংসারে মানব কিভাবে থাকিলে তাহার ধর্মলাভ হইবে ?’ অমনি দেখিতেছি কি, কোথা হইতে সহসা একটি ঢেঁকির চিত্র সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত । ঢেঁকিতে শস্য কুটা হইতেছে এবং একজন সন্তর্পণে উহার গড়ে শস্যগুলি ঠেলিয়া দিতেছে । দেখিয়াই বুঝিলাম, মা বুঝাইয়া দিতেছেন, ঐরূপে সতর্কভাবে সংসারে থাকিতে হইবে । ঢেঁকিতে যে শস্য ঠেলিয়া দিতেছে, তাহার যেমন সর্বদা দৃষ্টি আছে, যাহাতে তাহার হাতের উপর ঢেঁকির মুষলটি না পড়ে, সেইরূপ সংসারের প্রত্যেক কাজ করিবার সময় মনে রাখিতে হইবে, ইহা আমার সংসার বা আমার কাজ নহে, তবেই বন্ধনে পড়িয়া আহত ও বিনষ্ট হইবে না । ঢেঁকির ছবি দেখিবামাত্র, মা মনে ঐ কথার উদয় করিয়া দিলেন এবং উহাই তাহাদিগকে বলিলাম । তাহারাও শুনিয়া পরম পরিতুষ্ট হইল । লোকের সহিত কথা বলিবার কালে ঐরূপ ছবিসকল সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হয় ।”

———– স্বামী সারদানন্দ ।

🍃🍃🍃🍃🍃🍃 জয় ঠাকুর 🍃🍃🍃🍃🍃🍃♦Taken from FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN🙏🏻