🌿🌺 ঠাকুরের নরেন প্রীতি🌺🌿

published by Shruti marketing officer of SYCN.

((Taken from Facebook))

 

 

 

 

ঠাকুরের নরেন প্রীতি ****************** ঠাকুরের অন্তরে কি হইল কে জানে নরেনকে দেখিয়া। কালীচর্চা ভুলিয়া একেবারে নরেনচর্চায় উঠিলেন মাতিয়া। এদিকে নরেন বেবাগ,ঠাকুরকে নাহি দেয় পাত্তা। আর নরেন-বিরহে ঠাকুরের প্রাণ যায় গামছার মতো নিঙড়িয়া। ঠাকুর বলেন কাঁদিয়া, “ওরে বাপ রাখালিয়া! এখুনি দে নরেনকে আনিয়া।” বেচারি রাখাল কি করে;অগত্যা একদিন নরেনকে আনিল অনেক অনুনয়-বিনয় করিয়া। ************ঠাকুরের ঘরে নরেন বসিল আসিয়া, শুনিয়া ঠাকুরের খুশিতে আর ধরে না।শিশুর মতোই এলেন ছুটিয়া।”তা বেশ বেশ” বলি ঠাকুর বসিলেন এক কোণে। নরেন পণিপাত করি আবার বসিল মুখ ফিরাইয়া। ঠাকুর শুধুই মনে মনে এই যুক্তি করেন, কি করে পাই আমি প্রিয় নরেনের মন,হঠাৎ তাঁর পড়িল মনে নরেন দর্শনশাস্ত্রে বিদগ্ধজন, বলিলেন “তা নরেন, কর দিখি আলোচনা তোর দর্শন। ” নরেন ফস্ করি বলিল, “দেখুন মশাই, আপনি হলেন মুখ্খ-সুখ্খ মানুষ অতো সব উচ্চ-তত্ত কিছুই বুঝিবেন না। ” **************ঘরময় লোক, করে চোখাচোখি, মনে মনে বলে “হায়, হায়!পরমহংসকে কি এমন কথা কয়তে হয়! “ঠাকুর মনে মনে বলিলেন” বাবা! কি তেজ, একেবারে খাঁটি সরিষার তেল! ” **********নরেন যে মুখের ওপর এতো তর্ক করে, তবুও ঠাকুর সব লয় মানিয়া, একদিন একজন গেল এই ভাবিয়া, “ঠাকুরের সঙ্গে আজি যুদ্ধ লাগাইব তর্ক করিয়া।”ঠাকুর সকলকে বলিতে লাগিলেন ডাকিয়া ডাকিয়া, “শেয়াল আজি সিংহ সেজে এসেছে, ওরে দেখে যা তোরা আসিয়া। ” তখন সেই ব্যক্তি মনে মনে বলিতে লাগিল, “ওগো ধরণী! যাও তুমি ফাটিয়া।”

🌺🌺 শ্রীরামকৃষ্ণের কল্পতরু🌺🌺

কল্পতরু উৎসবের প্রাককালে ।

*********************************

আগামীকাল ১লা জানুয়ারী ২০২২ । নুতন বছরের সূচনার দিন । ঠাকুর ও মা এর ভক্তকুলের কাছে এই দিনটির আলাদা তাৎপর্য বহন করে ।

১৮৮৬ তখন ঠাকুর কাশীপুর উদ্যানবাটির দোতলার ঘরে থাকেন,বেশ অসুস্থ । শুয়ে শুয়ে শুনতে পাচ্ছেন তার কিছু ভক্ত নানা আলোচনাতে ব্যস্ত। ঠাকুরের মনে হল এরা আসা যাওয়া করে ঠিক ই তবে এদের আধ্যাত্মিক পথে যে অন্তর্দৃষ্টির দরকার তাতে এরা অনেক পিছিয়ে আছে ।

প্রারদ্ধপ্রাপ্ত গুনে এদের এই মার্গে উন্নতির সম্ভাবনা কম । অথচ তাঁর ধরায় আসাই সংসারী সহ সকলের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ।

এদিকে তাঁর হাতে সময় ও বেশী নেই । তিনি সেইঘরে ছটপট করতে লাগলেন কি কর্তব্য ভেবে । ঠাকুর কোনদিন কোন সিদ্ধাই দেখান নি অথচ নিত্য আসা যাওয়া ভক্তকুলের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও সেইভাবে হচ্ছে না ।তখন তিনি ভক্তকুলের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের কারন গলা ছেড়ে সবাইকে ডাকতে ডাকতে নেমে এলেন আর তাদের গায়ে মাথায় হাত ছুইয়ে তাদের আধারসম্পন্ন করে তুলতে একক প্রচেষ্টায় রত হলেন ।

তখন সেখানে উপস্থিত সৌভাগ্যের অধিকারী ভক্তকুলের তমসাবৃত অন্তরদৃষ্টি র উন্মোচনে রত হলেন আর তাদের আধ্যাত্মিক পথে এগিয়ে যাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। পরবর্তী কালে ভক্তকুলের কাছে এই দিনটি কল্পতরু উৎসব হয়ে ওঠে।

বুঝে না বুঝে অগনিত সংসারীভক্ত ও নানাজনে এই দিনটিতে ঠাকুর কে আলাদা করে ডেকে পার্থিব ঢাহিদা পূরণের উৎসবে নামিয়ে নিয়ে এসেছেন।

সত্য প্রেম ভক্তি দিয়ে তাঁকে নিস্কাম ডাকতেে লাগলে হয়ত তাঁর কৃপা পাওয়া যেতে পারে ।এইদিনের তাৎপর্য ভুলে ভাবের ঘরে চুরি করে কোন কিছুই প্রাপ্তির নাই ।

*******************************”

জয় ঠাকুর । জয় মা । কৃপা হি কেবলম ।

TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISBED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

🌺🌻🌺 শ্রীরামকৃষ্ণ🌺🌻🌺

🍃🍃🍃 শ্রীরামকৃষ্ণকে যেরূপ দেখিয়াছি 🍃🍃🍃

ঠাকুর বলিতেন, “মার উপরে যে একান্ত নির্ভর করে, মা তাহার অন্তরে বসিয়া যাহা বলিতে হইবে, তাহা অভ্রান্ত ইঙ্গিতে দেখাইয়া বলাইয়া থাকেন, এবং স্বয়ং শ্রীশ্রীজগদম্বা ঐরূপ করেন বলিয়াই তাহার জ্ঞানভাণ্ডার কখনও শূন্য হইয়া যায় না । মা তাহার অন্তরে জ্ঞানের রাশি ঠেলিয়া দিয়া সর্বদা পূর্ণ করিয়া রাখেন । সে যতই কেন ব্যয় করুক না, উহা কখনও শূন্য হইয়া যায় না ।” বিষয়টি বুঝাইতে যাইয়া একদিন তিনি একটি ঘটনার উল্লেখ করেন ———
দক্ষিণেশ্বর কালীবাটীর উত্তর পার্শ্বেই ইংরেজদের বারুদ-গুদাম নিয়ত পাহারা দিবার জন্য কতকগুলি সিপাহী থাকিত । উহারা সকলে ঠাকুরকে অতিশয় ভক্তি করিত এবং কখনও কখনও তাঁহাকে তাহাদিগের বাসায় লইয়া যাইয়া ধর্মবিষয়ক নানা প্রশ্নের মীমাংসা করিয়া লইত । ঠাকুর বলিতেন, “একদিন তাহারা প্রশ্ন করিল, ‘সংসারে মানব কিভাবে থাকিলে তাহার ধর্মলাভ হইবে ?’ অমনি দেখিতেছি কি, কোথা হইতে সহসা একটি ঢেঁকির চিত্র সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত । ঢেঁকিতে শস্য কুটা হইতেছে এবং একজন সন্তর্পণে উহার গড়ে শস্যগুলি ঠেলিয়া দিতেছে । দেখিয়াই বুঝিলাম, মা বুঝাইয়া দিতেছেন, ঐরূপে সতর্কভাবে সংসারে থাকিতে হইবে । ঢেঁকিতে যে শস্য ঠেলিয়া দিতেছে, তাহার যেমন সর্বদা দৃষ্টি আছে, যাহাতে তাহার হাতের উপর ঢেঁকির মুষলটি না পড়ে, সেইরূপ সংসারের প্রত্যেক কাজ করিবার সময় মনে রাখিতে হইবে, ইহা আমার সংসার বা আমার কাজ নহে, তবেই বন্ধনে পড়িয়া আহত ও বিনষ্ট হইবে না । ঢেঁকির ছবি দেখিবামাত্র, মা মনে ঐ কথার উদয় করিয়া দিলেন এবং উহাই তাহাদিগকে বলিলাম । তাহারাও শুনিয়া পরম পরিতুষ্ট হইল । লোকের সহিত কথা বলিবার কালে ঐরূপ ছবিসকল সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হয় ।”

———– স্বামী সারদানন্দ ।

🍃🍃🍃🍃🍃🍃 জয় ঠাকুর 🍃🍃🍃🍃🍃🍃♦Taken from FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN🙏🏻