শ্রীমার কাহিনী

বাংলাদেশের ময়মনসিং নামক শহরের সাব জজ এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের কুল গুরুর কাছ থেকে মন্ত্র দীক্ষা পান।কিন্তু দীক্ষার পর থেকে শান্তির পরিবর্তে তাদের মনে অশান্তির সৃষ্টি

হয়। বন্ধুরা বলে ভগবানের নাম কর,সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু দিনে দিনে অশান্তি বেড়েই চলে। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বিভিন্ন তীর্থ ভ্রমণ করে বেড়ান দুজনে।কাশি, বৃন্দাবন,

দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বর।এরপর পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করে

আসেন ভুবনেশ্বরে। ভুবনেশ্বরে মাত্র মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

গৃহ প্রবেশ করে রাজা মহারাজ সেখানে অবস্থান করছেন।

ভুবনেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে রাজা মহারাজকে সমস্ত কথা জানান তারা।সব শুনে মহারাজ বলেন,”নিশ্চয়ই মন্ত্রে

কোথাও ভুল আছে।” জজ সাহেব বলেন,”এ কথা তো এর আগে কেউ বলেনি।আপনি আমাদের বাঁচান।” এই বলে তিনি রাজা মহারাজের পায়ে ধরে মিনতি করেন,”আপনি দয়া করে মন্ত্র সংশোধন করে দিন।” রাজা মহারাজ বলেন,

“এতো আমার কাজ নয়।আপনারা মায়ের কাছে যান।তিনি

সব ঠিক করে দেবেন।মহারাজের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে

তারা জয়রামবাটি এসে মায়ের পায়ে আত্ম সমর্পণ করেন।

করুণাময়ী মা বললেন,”দেখ বাছা,মন্ত্রে ভুল থাকলে ইষ্ট এর

বদলে অনিষ্ট হতে পারে।ওই জন্য ই তোমরা মনে শান্তি পাচ্ছ না।আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি।”মা মন্ত্র সংশোধন করে দিলেন।তাদের মনে আনন্দের সীমা রইল না।মনে অপার

শান্তি এবং অপার আনন্দ নিয়ে ভুবনেশ্বর রাজা মহারাজের

সাথে দেখা করে দেশে ফিরে গেলেন।

সত্যিই আমাদের মায়ের অসাধ্য কিছুই নেই।

জয় মা,জয় মা।

TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN

**শ্রীমার জগদ্ধাত্রী দর্শন**

🌺🌺 শ্রীশ্রীমায়ের জগদ্ধাত্রী রূপদর্শন 🌺🌺

 

একটি কথা বলি, যা আমার স্ত্রীকে ছাড়া কাউকে বলিনি। শ্রীমা কে তা তিনি আমাকে দয়া করে দেখিয়েছিলেন, বুঝিয়ে দিয়েছিলেন – তিনি স্বর্গের দেবী, মর্ত্যে মানবী হয়ে জন্ম নিয়েছেন আমাদের উদ্ধার করতে।

 

কাউকে বলিনি, কারণ মায়ের নিষেধ ছিল তাঁর জীবনকালে ঘটনাটি প্রকাশ করার। ঘটনাটি হল এই,

 

শ্রীমা যখন জয়রামবাটী যেতেন তখন কখনো কখনো আমাকেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন। একবার জয়রামবাটী থেকে শ্রীমা কলকাতা ফিরছেন। গরুর গাড়ি করে কোয়ালপাড়া হয়ে বিষ্ণুপুরে যাচ্ছি আমরা। আমার হঠাৎ খুব ইচ্ছা হল শ্রীমায়ের আসল রূপ দেখার।

 

এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে মা বিশ্রাম করছেন গাছের ছায়ায়। নিরিবিলি দেখে মাকে একান্তে বললাম, “মা, আপনি আমাকে সন্তানের মতো স্নেহ করেন। আপনার দয়াতেই আমি স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নিয়ে বেঁচে আছি। সমস্ত আপদ-বিপদ থেকে আপনি রক্ষা করছেন, তবুও আমার একটা অতৃপ্ত বাসনা আছে। সেই বাসনা আপনি পূর্ণ করে দিলে আমার মনস্কামনা ষোলকলায় পূর্ণ হয়।”

 

শ্রীমা বাসনাটি জানতে চাইলেন। বললাম, “আপনার আসল রূপ দেখাই আমার শেষ বাসনা।” মা কিছুতেই রাজী হলেন না। অনেক কাকুতি-মিনতি করায় মা গররাজি হয়ে অন্যান্যদের বললেন, “তোমরা একটু সরে যাও। ওর সঙ্গে আমার একটু কথা আছে।”

 

আমাকে বললেন, “দেখ, শুধু তুমিই দেখবে। ওরা কেউ দেখতে পাবে না। কিন্তু বলবেও না যতদিন আমি বেঁচে থাকব।”

 

এই কথা বলে মা আমার সামনেই নিজমূর্তি ধরলেন। জগদ্ধাত্রী মূর্তি! মায়ের ওই দিব্য জ্যোতির্ময়ী মূর্তি দেখে আমি তো ভয়ে একেবারে কাঠ। মায়ের শরীর থেকে জ্যোতি বেরোচ্ছে। চারদিক জ্যোতির আলোয় আলো হয়ে গেছে। তীব্র আলোর জ্যোতিতে আমার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। তারই মধ্যে দেখতে পেলাম, মায়ের দুই পাশে জয়া-বিজয়া। আমার সমস্ত শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগল, কাঁপুনি আর থামে না। স্হির হয়ে দাঁড়াতে পারছি না। মায়ের পায়ে লুটিয়ে পড়লাম। শ্রীমা জগদ্ধাত্রীর রূপ সংবরণ করে মানবী হয়ে আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন। আস্তে আস্তে আমার কাঁপুনি থামল।

 

স্বাভাবিক হয়ে আসতে মা বললেন, “যা দেখলে তা কিন্তু কাউকে বলো না যতদিন আমি বেঁচে আছি।” মাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার জয়া বিজয়া কারা? মা বললেন, “গোলাপ আর যোগেন।”

 

~ চন্দ্রমোহন দত্তের লেখা পূণ্যস্মৃতি থেকে

 

পুনশ্চ: চন্দ্রমোহন দত্ত মারা যান ১৯৩৯ সালের ১৭ই অক্টোবর দুর্গাপঞ্চমীর দিন। সেদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি সবাইকে বললেন, “তোমরা এখন এখান থেকে সরে যাও। মা এসেছেন আমাকে নিতে – লালপাড় শাড়ি পরে।” এর অল্প কিছুক্ষণ পরেই বেলা তিনটের সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

[তথ্যকৃতজ্ঞতা: শ্রীশ্রীমায়ের পদপ্রান্তে, প্রথম খন্ড]

Collected from FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN