🌺🌺শ্রীমার জীবনযাত্রা🌺🌺

দক্ষিনেশ্বরে মায়ের রোজনামচা
————————————————
মা ভোর চারটের আগে বাসি কাজকর্ম সেরে, শৌচ ও স্নানাদি সম্পন্ন করে পূজায় ও ধ্যানে বসতেন।পূজা,জপ,ধ্যান এতে প্রায় দেড় ঘন্টা কেটে যেত। তারপর রান্না করতে বসতেন, রান্না হলে,যে দিন সুযোগ ঘটতো, সেদিন মা নিজহাতে ঠাকুরকে স্নানের জন্য তেল মাখিয়ে দিতেন। ঠাকুর স্নানে গেলে মা ঠাকুরের জন্য পান সেজে রাখতেন, ঠাকুর স্নান সেরে ঘরে এলেই মা জল,আসন‌ ও খাবারের থালা নিয়ে এসে ঠাকুরকে আহারে বসিয়ে নানা কথার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করতেন,যাতে খাবার সময় ভাব-সমাধি উপস্থিত হয়ে আহারে বিঘ্ন না ঘটায়।

একমাত্র মা খাবার সময় ঠাকুরের ভাব-সমাধি আসা অনেকটা ঠেকিয়ে রাখতে পারতেন, আর কারো সাধ্য ছিল না। ঠাকুরের খাওয়া হলে, মা একটু কিছু মুখে দিয়ে জল খেয়ে নিতেন, তারপর পান সাজতে বসতেন ও গুন গুন করে গান গাইতেন,তা খুব সাবধানে যেন কেউ শুনতে না পায়।

এরপর যখন কলের বাঁশী বেজে উঠতো, তাই শুনে তিনি খেতে বসতেন,দেড়টা দুটোর আগে কোনদিন‌ই মায়ের খাওয়া হোত না। খাবার পর নামমাত্র বিশ্রাম করে চুল শুকোতে বসতেন তিনটে নাগাদ সিঁড়িতে। তারপর আলো ঠিকঠাক করে, তোলা জলে হাত, মুখ ধুয়ে কাপড় কেচে সন্ধ্যার জন্য প্রস্তুত হতেন। সন্ধ্যায় আলো দিয়ে, ঠাকুর দেবতার সামনে ধূনো দেখিয়ে মা ধ্যানে বসতেন। এরপর রাতের রান্না, ঠাকুরকে খাওয়ানো, শাশুড়িকে খাওয়ানো সেরে মা আহার করতেন। এরপর একটু বিশ্রাম করে শুয়ে পড়তেন।
এই সব কাজের মধ্যেও শাশুড়ির সমস্ত রকম সেবা যত্নের কোন ত্রুটি রাখতেন না।

  1. সংগৃহীতTAKEN FROM FACEBOOK
  2. PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

🌺🌿🌺 শ্রীমার লীলা🌺🌿🌺

সংগৃহীত।

|| ঘটন না অঘটন? ||
…………………………….

এক সাধুর মুখে শুনেছি, একটি সবজিওলা বর্ধমান স্টেশনে বসে ছিল, লোকাল ট্রেনে মাল নিয়ে কলকাতা আসবে বলে। মাল বলতে বিশেষ কিছু ছিল না সেদিনঘটন না অঘটন? – গজেন্দ্রকুমার মিত্র, কিছু শাক ছিল মাত্র। তার মধ্যে কচি চড়ুই শাক বা চাঁপানটেই প্রধান। পাশে বসে ছিলেন বৃদ্ধামতো মহিলা, পাড়াগাঁয়ে সদাকুণ্ঠিত জড়োসড়ো গোছের বয়স্কা একটি মেয়েছেলে। তিনি বারবারই সেই শাকগুলিতে হাত বুলিয়ে দেখতে লাগলেন, যেন স্পর্শেই ওদের স্বাদ অনুভব করছেন,আর মুখে বলতে লাগলেন:”বা: বা:, অনেকদিন এমন টাটকা শাক দেখি নি বাবা,তা যা বলব!”

বুড়ির রকমসকম দেখে মায়া হলো শাকওলার। বললে: “তা নাও না বুড়ি-মা, দু আঁটি তিন আঁটি-যা ইচ্ছে! স্বছন্দে নাও, পয়সা লাগবে না।”
মহিলা মাথা নেড়ে বললেন : “না বাবা, এখন নিতে পারব না। এখন ঘরকে যাচ্ছি না।”
তারপর একটু থেমে বললেন : “তুমি কোথায় যাবে বললে? শ্যামবাজারে যাও শাক বেচতে? তা বাবা যদি তোমার দয়া হয়, একদিন বরং আমার ঘরে দু-আঁটি শাক ফেলে দিয়ে এসো। যেদিন বাঁচবে-টাঁচবে-”
“আমি ঠিকানা পাব কোথায়?”
“কিছু না, শ্যামবাজারের বাজার থেকে বেরিয়ে একটু উওরে-বাগবাজার,সেই মুখে যেয়ে জিজ্ঞাসা করো, মার বাড়িটা কোথায়,কেউ না কেউ দেখিয়ে দেবেই-”
তা গিছল সে লোকটি। বাজারে যাবার আগেই গিছল। আলাদা করে চাঁপানটে একটা ছেঁড়া কাপড়ে বেঁধে নিয়ে। বাড়ি খুঁজে বের করতেও কোনো অসুবিধে হয়নি। কিন্তু মুশকিল হলো-লোকটি যখন বলল: “এই ঠিকানায় একটি বুড়ীমতো মেয়েছেলে থাকে, আমাকে বলেছেন একটু লটে শাক দিয়ে যেতে-তাই আমি এনেছি।”
সেটা আসলে মঠ, সাধুরা থাকেন। তাঁরা তো অবাক। “না বাপু, এখানে কেনো মেয়েছেলেটেলে থাকে না। দেখতে পাচ্ছ তো সাধুদের আস্তানা-এখানে মেয়েছেলে থাকবেই বা কেন? নিশ্চয় তোমার ভুল হয়েছে।”
তবু লোকটি বারবারই বলতে লাগল: “না, সে বুড়ী-মা আমাকে অনেক করে বলেছেন যে-”
বলতে বলতেই নজড়ে পড়ল, সিঁড়ির বাঁকে বিশ্বজননী সারদামণির নানা বয়সের ছবি-এক ফেমেই বাঁধানো-সে বলে উঠল: “বা: রে! এই তো। এই বুড়ী-মাই তো আমাকে লটে শাকের কথা বলেছেল- আপনারা বলছ তিনি এখানে থাকে না!”
সাধুরা তো অবাক! মাগো, তোমার দুটো শাক খাবার ইচ্ছে হয়েছিল তো আমাদের বলোনি কেন!

– গজেন্দ্র কুমার মিত্র

(ঘটনাটি মায়ের মহানিষ্ক্রমণেরও বহুদিন/ বছর বাদে ঘটেছিল।)

TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

 

শ্রীমার কাহিনী

বাংলাদেশের ময়মনসিং নামক শহরের সাব জজ এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের কুল গুরুর কাছ থেকে মন্ত্র দীক্ষা পান।কিন্তু দীক্ষার পর থেকে শান্তির পরিবর্তে তাদের মনে অশান্তির সৃষ্টি

হয়। বন্ধুরা বলে ভগবানের নাম কর,সব ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু দিনে দিনে অশান্তি বেড়েই চলে। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বিভিন্ন তীর্থ ভ্রমণ করে বেড়ান দুজনে।কাশি, বৃন্দাবন,

দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বর।এরপর পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করে

আসেন ভুবনেশ্বরে। ভুবনেশ্বরে মাত্র মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

গৃহ প্রবেশ করে রাজা মহারাজ সেখানে অবস্থান করছেন।

ভুবনেশ্বর রামকৃষ্ণ মিশনে গিয়ে রাজা মহারাজকে সমস্ত কথা জানান তারা।সব শুনে মহারাজ বলেন,”নিশ্চয়ই মন্ত্রে

কোথাও ভুল আছে।” জজ সাহেব বলেন,”এ কথা তো এর আগে কেউ বলেনি।আপনি আমাদের বাঁচান।” এই বলে তিনি রাজা মহারাজের পায়ে ধরে মিনতি করেন,”আপনি দয়া করে মন্ত্র সংশোধন করে দিন।” রাজা মহারাজ বলেন,

“এতো আমার কাজ নয়।আপনারা মায়ের কাছে যান।তিনি

সব ঠিক করে দেবেন।মহারাজের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে

তারা জয়রামবাটি এসে মায়ের পায়ে আত্ম সমর্পণ করেন।

করুণাময়ী মা বললেন,”দেখ বাছা,মন্ত্রে ভুল থাকলে ইষ্ট এর

বদলে অনিষ্ট হতে পারে।ওই জন্য ই তোমরা মনে শান্তি পাচ্ছ না।আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি।”মা মন্ত্র সংশোধন করে দিলেন।তাদের মনে আনন্দের সীমা রইল না।মনে অপার

শান্তি এবং অপার আনন্দ নিয়ে ভুবনেশ্বর রাজা মহারাজের

সাথে দেখা করে দেশে ফিরে গেলেন।

সত্যিই আমাদের মায়ের অসাধ্য কিছুই নেই।

জয় মা,জয় মা।

TAKEN FROM FACEBOOK

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN