দক্ষিনেশ্বরে মায়ের রোজনামচা
————————————————
মা ভোর চারটের আগে বাসি কাজকর্ম সেরে, শৌচ ও স্নানাদি সম্পন্ন করে পূজায় ও ধ্যানে বসতেন।পূজা,জপ,ধ্যান এতে প্রায় দেড় ঘন্টা কেটে যেত। তারপর রান্না করতে বসতেন, রান্না হলে,যে দিন সুযোগ ঘটতো, সেদিন মা নিজহাতে ঠাকুরকে স্নানের জন্য তেল মাখিয়ে দিতেন। ঠাকুর স্নানে গেলে মা ঠাকুরের জন্য পান সেজে রাখতেন, ঠাকুর স্নান সেরে ঘরে এলেই মা জল,আসন ও খাবারের থালা নিয়ে এসে ঠাকুরকে আহারে বসিয়ে নানা কথার মধ্য দিয়ে চেষ্টা করতেন,যাতে খাবার সময় ভাব-সমাধি উপস্থিত হয়ে আহারে বিঘ্ন না ঘটায়।
একমাত্র মা খাবার সময় ঠাকুরের ভাব-সমাধি আসা অনেকটা ঠেকিয়ে রাখতে পারতেন, আর কারো সাধ্য ছিল না। ঠাকুরের খাওয়া হলে, মা একটু কিছু মুখে দিয়ে জল খেয়ে নিতেন, তারপর পান সাজতে বসতেন ও গুন গুন করে গান গাইতেন,তা খুব সাবধানে যেন কেউ শুনতে না পায়।
এরপর যখন কলের বাঁশী বেজে উঠতো, তাই শুনে তিনি খেতে বসতেন,দেড়টা দুটোর আগে কোনদিনই মায়ের খাওয়া হোত না। খাবার পর নামমাত্র বিশ্রাম করে চুল শুকোতে বসতেন তিনটে নাগাদ সিঁড়িতে। তারপর আলো ঠিকঠাক করে, তোলা জলে হাত, মুখ ধুয়ে কাপড় কেচে সন্ধ্যার জন্য প্রস্তুত হতেন। সন্ধ্যায় আলো দিয়ে, ঠাকুর দেবতার সামনে ধূনো দেখিয়ে মা ধ্যানে বসতেন। এরপর রাতের রান্না, ঠাকুরকে খাওয়ানো, শাশুড়িকে খাওয়ানো সেরে মা আহার করতেন। এরপর একটু বিশ্রাম করে শুয়ে পড়তেন।
এই সব কাজের মধ্যেও শাশুড়ির সমস্ত রকম সেবা যত্নের কোন ত্রুটি রাখতেন না।
- সংগৃহীত♠TAKEN FROM FACEBOOK
- PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.