নারী জাতি 🌺🌺

🌺🌺🌺আবার প্রমাণিত হইল, নারী শক্তির পূজা ভিন্ন কোন কিছুই উন্নতি হতে পারে না। প্রথমেই নারী শক্তির পূজা চাই।

💥💥💥রাম জন্মভূমি অযোধ্যাতে রামচন্দ্র কে প্রতিষ্ঠার পূর্বে ভূমি পূজার পূর্বে, তান্ত্রিক মতে রামচন্দ্রের পূজার আগে, ভগবতী দেবী কালীকাদেবীর তান্ত্রিক মতে পূজা করা হইল

। ভগবতীদেবী কালীকা র জয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহালক্ষ্মী ও মহাসরস্বতী র ও জয় দেওয়া হয়েছে। তাইতো আমাদের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব দেখিয়ে গেলেন, কিভাবে নারী জাতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হয়।

শাস্ত্রে ও রয়েছে:-

“যে গৃহে নারীগণ পূজিতা হন, সেই গৃহে দেবতাসকল ও সানন্দে আগমন করেন, আর যে গৃহে নারীগণ বহুমান লাভ না করেন, সে গৃহে দেবতাদিগের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত যাগ-যজ্ঞদি কোন ক্রিয়াই সুফল প্রসব করে না।”

 

“যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।

যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।।”…মনু,৩/৫৬

——————————

“জায়ার ভিতরে আত্মস্বরূপিনী দেবী বর্তমানা বলিয়াই লোকের জায়াকে এত প্রিয় বলিয়া বোধ হয়।”

 

💮🪔💥”ন বা অরে জায়ায়ৈ কামায় জায়া প্রিয়া ভবত্যাত্মনস্তু কামায় জায়া প্রিয়া ভবতি।”….. বৃহদারণ্যক, ২য় অধ্যায়, ৪ র্থ ব্রাহ্মণ, ৫

🧎📿🌷🌺ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব ও এই নারীশক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করে শ্রদ্ধায় অবনত করে, এই নারীশক্তি ত্রিজগৎ প্রসবিনী শক্তিকে কালে বিরাট নারীমূর্তিস্বরূপে কল্পনা করিয়া তদবলম্বনে জগন্মাতার উপাসনা করিয়া কৃতার্থ হইলেন।

স্বামীজী ও বলেছিলেন, যে দেশের নারী জাতিকে সম্মান প্রদর্শন করা হয় না সেই দেশ উচ্ছন্নে গেছে, নারী শক্তির পূজা ভিন্ন কোন দেশ বা জাতি উঠিতে পারে না। শক্তির প্রতীক এই নারী।

✍️জয় ঠাকুর, জয় মা ,জয় স্বামীজি সকলের মঙ্গল করো🪔🪔🪔

((সংগৃহীত))

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU 

MARKETING OFFICER OF SYCN..

🌺🌺শতরূপে নারী 🌺🌺

সকল সনাতনী মায়েদের জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।

নারীর নীতি যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রী ঠাকুরের কথিত এক গুরুত্বপূর্ন নির্দেশনামূলক গ্রন্থ। অনলাইনে চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

ঠাকুর নারী জাতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাতে বললেন। সৎসঙ্গীদের নিকট নারীর স্থান অনন্য উচ্চতায় আসীন। মেয়েরা হল মা,জায়া,ভগিনী,পিসী,মাসী,ঠাকুরমা,কাকীমা,জেঠীমা ইত্যাদি। মায়েদের এমন অনেকরূপ। মায়েরা পরিবার,সমাজ,দেশ,জাতি, সংস্কার, মূল্যবোধ রক্ষা করে চলেছেন। মায়েদের পরমস্নেহে লালন-পালনের কারনে আমরা পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পাই এবং সযতনে বেড়ে উঠি। সনাতন ধর্মে মাকে দেবী জ্ঞানে আরাধনা করা হয়।
ঠাকুর বলেছেন, “প্রত্যেক মেয়েই নিজের মায়ের এক একটা রূপ এমনটা ভাবতে হয়।”
প্রত্যেক মেয়েই জগদজননীর এক একটি অংশ।
মায়েদের অনেক দায়িত্ব এই সংসারে। তাই দশভূজা দূর্গা। মায়েদের দশদিক সামলে চলতে হয়। এ এক পরম নির্ভরতা।
নারীত্বের শক্তি হল বড় শক্তি। এই শক্তি জাগ্রত হলে পৃথিবী অপূর্ব হয়ে উঠবে। সুসন্তানে ভরে যাবে দেশ। মায়েদের গর্ভেই জন্ম নেবে মহান মহান সব আত্মা। যারা পৃথিবীকে আলোকিত করবে অন্ধকার বিতাড়িত করবে।
মা হল মাটির মত সর্বংসহা। মাকে অনেক যন্ত্রনা,আবদার সহ্য করতে হয়।
নারীকে সম্মান দিন। মায়েদের অবহেলা করবেন না। মায়েরা সারাজীবন নিজেদের সুখ স্বাচ্ছন্দ উৎসর্গ করেন স্বামী ও সন্তানের সুখের জন্য। মা না থাকলে সংসার এত সুখময় হত না।
মা মানে যিনি মেপে দেন। যিনি যত বেশী মেপে দিতে পারেন তার সন্তান তত বড় হয়।
মা যদি ব্যভিচারীনি হয় তবে পৃথিবীতে ধংস নেমে আসবে। সমাজে অশান্তি ও বিশৃংখলা বাড়বে। কারন তার থেকে কখনও সুসন্তান আশা করা যায় না।
তাই ঠাকুর সাবধান করে বলেছেন,
নারীর শুদ্ধতার উপরই জাতির শুদ্ধতা নির্ভর করছে।
ঠাকুর বলেছেন,
মাতৃভক্তি অটুট যত,
সেই ছেলে হয় কৃতি তত।
যে ছেলের মায়ের প্রতি ভালবাসা আছে সে ছেলে লক্ষ্মী ছেলে। তার মধ্যে মহানত্ব লুকিয়ে আছে। অনন্য এক মাতৃভক্ত ছিলেন শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। যে কোন মূল্যে মাকে খুশী রাখাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

আমরা জানি,জননী জন্মভূমিশ্চ,
স্বর্গাদপী গরীয়সী।
ঠাকুর নারীর নীতি গ্রন্থটি বিশেষ করে মায়েদের জন্য দিয়েছেন। এটা সংগ্রহ করবেন এবং পড়বেন।
ঠাকুরের নারী বিষয়ক আরও বই উদ্ধর্ধনে নারী,নারীর পথে।
জয়গুরু।
বন্দেপুরুষোত্তমম।
শ্রী কিশোরী মোহন দে।