published by Shruti marketing officer of SYCN.
((Taken from Facebook))
ঠাকুরের নরেন প্রীতি ****************** ঠাকুরের অন্তরে কি হইল কে জানে নরেনকে দেখিয়া। কালীচর্চা ভুলিয়া একেবারে নরেনচর্চায় উঠিলেন মাতিয়া। এদিকে নরেন বেবাগ,ঠাকুরকে নাহি দেয় পাত্তা। আর নরেন-বিরহে ঠাকুরের প্রাণ যায় গামছার মতো নিঙড়িয়া। ঠাকুর বলেন কাঁদিয়া, “ওরে বাপ রাখালিয়া! এখুনি দে নরেনকে আনিয়া।” বেচারি রাখাল কি করে;অগত্যা একদিন নরেনকে আনিল অনেক অনুনয়-বিনয় করিয়া। ************ঠাকুরের ঘরে নরেন বসিল আসিয়া, শুনিয়া ঠাকুরের খুশিতে আর ধরে না।শিশুর মতোই এলেন ছুটিয়া।”তা বেশ বেশ” বলি ঠাকুর বসিলেন এক কোণে। নরেন পণিপাত করি আবার বসিল মুখ ফিরাইয়া। ঠাকুর শুধুই মনে মনে এই যুক্তি করেন, কি করে পাই আমি প্রিয় নরেনের মন,হঠাৎ তাঁর পড়িল মনে নরেন দর্শনশাস্ত্রে বিদগ্ধজন, বলিলেন “তা নরেন, কর দিখি আলোচনা তোর দর্শন। ” নরেন ফস্ করি বলিল, “দেখুন মশাই, আপনি হলেন মুখ্খ-সুখ্খ মানুষ অতো সব উচ্চ-তত্ত কিছুই বুঝিবেন না। ” **************ঘরময় লোক, করে চোখাচোখি, মনে মনে বলে “হায়, হায়!পরমহংসকে কি এমন কথা কয়তে হয়! “ঠাকুর মনে মনে বলিলেন” বাবা! কি তেজ, একেবারে খাঁটি সরিষার তেল! ” **********নরেন যে মুখের ওপর এতো তর্ক করে, তবুও ঠাকুর সব লয় মানিয়া, একদিন একজন গেল এই ভাবিয়া, “ঠাকুরের সঙ্গে আজি যুদ্ধ লাগাইব তর্ক করিয়া।”ঠাকুর সকলকে বলিতে লাগিলেন ডাকিয়া ডাকিয়া, “শেয়াল আজি সিংহ সেজে এসেছে, ওরে দেখে যা তোরা আসিয়া। ” তখন সেই ব্যক্তি মনে মনে বলিতে লাগিল, “ওগো ধরণী! যাও তুমি ফাটিয়া।”