🌺🌺নবদুর্গা (কুষ্মান্ডা )🌺🌺

🌺 নবদুর্গা – কুষ্মাণ্ডা (৪) 🌺

 

চৈত্র/আশ্বিন মাসের নবরাত্রির শুক্লা চতুর্থী তিথিতে পার্বতী মাতার নবদুর্গারূপের অন্তর্গত চতুর্থরূপের আরাধনা করা হয় যা দেবী কুষ্মাণ্ডা নামে পরিচিত ।

 

আদিশক্তি শিবার হিরণ্যগর্ভা স্বরূপই হল – দেবী কুষ্মাণ্ডা।

 

কু শব্দের অর্থ হল – ছোট, উষ্মার অর্থ তাপ। দুর্বিষহ ত্রিতাপ হল কুষ্মা, যিনি এই ত্রিতাপ নিজের উদরে বা অণ্ডে ধারণ করেন। অর্থাৎ তিনি ত্রিতাপ তথা আধ্যাত্মিক, আধিদৈবিক ও আধিভৌতিক দুঃখকে হরণ করে নেন।

 

শিবা দেবী তার এই রূপে জগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। তাই তিনি এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে পূজিতা হন। কুষ্মাণ্ডা দেবীর রয়েছে অসাধারণ দিব্য সৌন্দর্য এবং অনন্য নির্মল সুন্দর হাস্য বদন। তার রূপ ও সুন্দর হাসি দিয়ে সমগ্র বিশ্বের অন্ধকার দূর করেন কুষ্মাণ্ডা। সূর্যের কেন্দ্রে দেবী কুষ্মাণ্ডার বাস । সূর্যের প্রচণ্ড শক্তি গোটা জগৎ – এ ছড়িয়ে দেন দেবী কুষ্মাণ্ডা। যাবতীয় রোগশোক ও দুঃখ যন্ত্রণা উপশম করেন দেবী কুষ্মাণ্ডা।

 

সূর্যের মতোই প্রচণ্ড তেজ দেবী কুষ্মাণ্ডার। তিনি সিংহবাহিনী, অর্থাত্‍ সিংহের পিঠে আরোহণ করেন। পৃথিবীর, সূর্য, তারা এবং নক্ষত্রমণ্ডলীর সৃষ্টি করেছেন দেবী কুষ্মাণ্ডা। তারপর তিনি নিজেই সূর্যের গহ্বরে প্রবেশ করেন। কুষ্মাণ্ডা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় শক্তির উত্‍স। সৌন্দর্য ও সাহসের প্রতীক হলেন ইনি। তার হাসি থেকেই নির্গত হয় স্বর্গীয় প্রভা ও শক্তি। এই দিন ঘন নীল রঙের পোশাক পরিধান করতে হয়। নবরাত্রির চতুর্থ রাতে ঘন নীল রঙের পোশাক পরা কুষ্মাণ্ডার আরাধনা করার সমান বলে মান্যতা আছে ।

 

তাছাড়া পূজা করতে কুমড়ো বলি প্রয়োজন হয়, এই কারণে ভক্তগণ দেবীকে কুষ্মাণ্ডা বলে ডাকেন।

 

দেবীর মুখমণ্ডল সূর্যসম দীপ্তিমান। আদ্যাপার্বতীর একটি রূপ হলেও এই দেবীর আটটি হস্ত বর্তমান । তিনি আট হস্তে হাতে যথাক্রমে চক্র, গদা, তির, ধনুক, জপমালা, শতদল, একটি অমোঘ কলস ও একটি কমণ্ডলু ধারণ করেন। দেবী তার বাহন হিসেবে সিংহের উপরে স্থিতা।

নমঃ শিবায়ৈ 🙏🌺

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETTING OFFICER OF SYCN.