কল্পতরু উৎসবের প্রাককালে ।
*********************************
আগামীকাল ১লা জানুয়ারী ২০২২ । নুতন বছরের সূচনার দিন । ঠাকুর ও মা এর ভক্তকুলের কাছে এই দিনটির আলাদা তাৎপর্য বহন করে ।
১৮৮৬ তখন ঠাকুর কাশীপুর উদ্যানবাটির দোতলার ঘরে থাকেন,বেশ অসুস্থ । শুয়ে শুয়ে শুনতে পাচ্ছেন তার কিছু ভক্ত নানা আলোচনাতে ব্যস্ত। ঠাকুরের মনে হল এরা আসা যাওয়া করে ঠিক ই তবে এদের আধ্যাত্মিক পথে যে অন্তর্দৃষ্টির দরকার তাতে এরা অনেক পিছিয়ে আছে ।
প্রারদ্ধপ্রাপ্ত গুনে এদের এই মার্গে উন্নতির সম্ভাবনা কম । অথচ তাঁর ধরায় আসাই সংসারী সহ সকলের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন ।
এদিকে তাঁর হাতে সময় ও বেশী নেই । তিনি সেইঘরে ছটপট করতে লাগলেন কি কর্তব্য ভেবে । ঠাকুর কোনদিন কোন সিদ্ধাই দেখান নি অথচ নিত্য আসা যাওয়া ভক্তকুলের আধ্যাত্মিক উন্নতি ও সেইভাবে হচ্ছে না ।তখন তিনি ভক্তকুলের আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের কারন গলা ছেড়ে সবাইকে ডাকতে ডাকতে নেমে এলেন আর তাদের গায়ে মাথায় হাত ছুইয়ে তাদের আধারসম্পন্ন করে তুলতে একক প্রচেষ্টায় রত হলেন ।
তখন সেখানে উপস্থিত সৌভাগ্যের অধিকারী ভক্তকুলের তমসাবৃত অন্তরদৃষ্টি র উন্মোচনে রত হলেন আর তাদের আধ্যাত্মিক পথে এগিয়ে যাবার ব্যবস্থা করেছিলেন। পরবর্তী কালে ভক্তকুলের কাছে এই দিনটি কল্পতরু উৎসব হয়ে ওঠে।
বুঝে না বুঝে অগনিত সংসারীভক্ত ও নানাজনে এই দিনটিতে ঠাকুর কে আলাদা করে ডেকে পার্থিব ঢাহিদা পূরণের উৎসবে নামিয়ে নিয়ে এসেছেন।
সত্য প্রেম ভক্তি দিয়ে তাঁকে নিস্কাম ডাকতেে লাগলে হয়ত তাঁর কৃপা পাওয়া যেতে পারে ।এইদিনের তাৎপর্য ভুলে ভাবের ঘরে চুরি করে কোন কিছুই প্রাপ্তির নাই ।
*******************************”
জয় ঠাকুর । জয় মা । কৃপা হি কেবলম ।
TAKEN FROM FACEBOOK
PUBLISBED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.