<Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research ="https://gmpg.org/xfn/11"> Sri Yoga Center Kunarpur – Vedic Yoga, Indology & Cultural Research Sri Yoga Center - Sri Yoga Center Ashram's Blog - Page 3

ছোট গল্প

 

 

গল্পটি পড়লে ভাল লাগবে :-

 

একটা হাতি মরার পর যমালয়ে গেছে ।

যমরাজ তাকে শুধোচ্ছেন , ‘ হ্যা রে ! তোকে এত বড় একটা প্ৰকাণ্ড শরীর দিয়ে পাঠানো হল , আর তুই মানুষের বশ হলি কী করে ? তোর একটা পায়ের সমান মানুষ , সেই ছোট্ট মানুষটা তোকে বশ করে নিল ? ”

হাতি বলল , “ মহারাজ ! মানুষ এমনই এক জাত যে আমার চেয়েও বড় বড় প্ৰাণীকে সে বশ করে নেয় । ”

ধৰ্মরাজ বলেন , “ আমার এখানে তো কতই না মানুষ আসে । কই , তাদের দেখে তো এমন মনে হয় না । ”

হাতি বলল , “ মহারাজ ! আপনার এখানে তো তারা আসে মরার পরে । যদি জীবন্ত মানুষ আসত তো বুঝতে পারতেন । ”

 

ধৰ্মরাজ দূতকে বললেন , “ যা তো , একজন জীবন্ত মানুষ এখানে নিয়ে অায় । যমদূত বলল , “ জী হুজুর এখনি যাচ্ছি । ”

দূত পৃথিবীতে বিচরণ করতে করতে এক জায়গায় দেখল , গরমে ছাদের উপরে খাটে একটা লোক ঘুমাচ্ছে । সে তখন খাট সমেত লোকটাকে কঁধে তুলে নিয়ে যমালয়ের দিকে রওনা হল । মাঝপথে লোকটাের ঘুম ভেঙে গেল । দেখল , “ অদ্ভুত ব্যাপার । কেউতাকে শূন্যে তুলেনিয়ে যাচ্ছে ? ”

লোকটাছিল এক কায়স্থ , বইটই লিখত । বইতে যমদূতের যে সকল লক্ষণ লেখা আছে , সেইরকম দেখে সে বুঝল , এ নির্থাৎ যমদূত । আমাকে তাহলে যমালয়ে নিয়ে যাচ্ছে । সে তখন পকেট থেকে তাড়াতাড়ি কাগজ – কলম বার করে খচখচ করে কী সব লিখেই কাগজটা পকেট পুরে নিল । তারপর চুপচাপ খাটের উপর মটকা মেরে পড়ে রইল । ভাবল চিৎকার – চেঁচামেচি করলে পড়ে গিয়ে হাড়গোড় ভাঙবে । দেখা যাক কী হয় । সকাল হতে না হতেই দূত যমালয়ে পৌছে গেল । ধৰ্মরাজের সভা সবে মাত্ৰ আরম্ভ হয়েছে । দূত গিয়ে সেখানে খাট নামাল । কায়স্থ ঝট করে উঠেই পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে দূতের হতে দিল ধৰ্মরাজকে দেবার জন্য । সেই চিরকুট ভগবান বিষ্ণুর নামে লেখা হয়েছিল । দূত কাগজটি ধৰ্মরাজের হাতে দিলে ধৰ্মরাজ সেটি মন দিয়ে পড়লেন ।

তাতে লেখাছিল — “ প্রিয় ধৰ্মরাজ ! আপনাকে জানানো হচ্ছে যে এই পত্ৰবাহক আমার একান্ত – সচিব । একে আপনার কাছে পাঠালাম । একে দিয়ে আপনি যাবতীয় কাজ করাবেন । ইতি নারায়ণ , বৈকুণ্ঠপুরী । ”

 

লেখা পড়েই ধৰ্মরাজ তড়াক করে গদি থেকে উঠে এসে কায়স্থকে বললেন,

“আসুন মহারাজ ! সিংহাসনে বসুন । ”

কালবিলম্ব না করে কায়স্থ ধৰ্মরাজের সিংহাসনে গিয়ে বসল । ততক্ষণে দূত একটা লোককে নিয়ে এসে সভায় হাজির করল ।

কায়স্থ বলল , “ এ কে ? ”

দূত জানায় — “ হুজুর । এ একটা ডাকাত । বহু লোকের সর্বনাশ করেছে , বহু লোককে খুন করেছে । এর কী দণ্ড হবে ? ” কায়স্থ বলল , “ একে স্বৰ্গে পাঠিয়ে দাও । ”

তারপর আর একজনকে উপস্থিত করা হল । কায়স্থ জিজ্ঞাসা করল , “ এ কে ? দূত বলল — “ এ একজন দুধওয়ালা , দুধে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করত । সেই ভেজাল দুধ খেয়ে বহু ছোট ছোট শিশু পেট ফুলে মারা গেছে । এর কী শাস্তিবিধান হবে ? ” “ একেও স্বৰ্গে পাঠিয়ে দাও । ”

ততক্ষণে আরেকজন উপস্থিত হল । “ এ কে ? দূত — “ হুজুর এ মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বহু বেচারিকে ফঁাসিয়েছে । একে কী করব ? ” কায়স্থ – ‘ , জিজ্ঞাসা করছ কী ? সব স্বৰ্গে পাঠিয়ে দাও । ”

এরপর ও ব্যভিচারী , পাপী , হিংসুটে যত রকমের দুষ্ট থাকতে পারে সব একে একে এল , আর সবাইকার জন্য ওই একই হুকুম হল ‘ স্বৰ্গে পাঠিয়ে দাও । ” ধৰ্মরাজ আর কী করবেন ! সিংহাসনে বসে বিষ্ণুর একান্ত সচিব যা বলছেন তাই মেনে নিতে হবে । ওদিকে স্বৰ্গে তো লাইন পড়ে গেছে , দেখে ভগবান ভাবছেন , একি কাণ্ড ! এত লোক কোথা থেকে আসছে ? পৃথিবীতে কী তবে কোনো মহাত্মার আবিৰ্ভাব হল নাকি ? লোকে দল বেঁধে স্বৰ্গে হাজির হচ্ছে । ভগবান দেখলেন , সব যমালয় থেকে উঠে আসছে । নারায়ণ তখন নিজেই যমালয়ে গেলেন । নারায়ণকে দেখে সবাই উঠে দাঁড়াল । যমরাজ উঠে দাঁড়ালেন , আর ওই কায়স্থ ও উঠে দাঁড়াল ।

নারায়ণ জিজ্ঞাসা করলেন , ‘ ধৰ্মরাজ ! আপনি সবাইকে স্বৰ্গে পাঠিয়ে দিচ্ছেন , ব্যাপার

কী ? এত লোক ভক্ত হয়ে গেল নাকি ? ”

ধৰ্মরাজ বললেন , ‘ প্ৰভু ! এ কাজ আমি করিনি । আপনি যে লোক পাঠিয়েছেন , এ তারই কাজ । ”

ভগবান নায়ায়ণ বললেন , “ আমি আবার কবে লোক পাঠালাম ? ”

তিনি কায়স্থকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ তোমাকে কে পাঠিয়েছে ? ”

কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু ! আপনি পাঠিয়েছেন । ”

ভগবান নারায়ণ অবাক হয়ে বললেন , “ আমি কবে পাঠালাম হে ? ”

কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু ! এখানে আসা আমার বাপের সাধ্য কী যে আসব । আপনিই তো আমাকে পাঠিয়েছেন । আপনার ইচ্ছা ছাড়া কি কোনো কাজ হতে পারে ? এ কি আমার শক্তিতে হয়েছে ? ”

নারায়ণ বললেন , “তা ঠিক আছে ! কিন্তু তুমি এ কী করছ ? ”

কায়স্থ বলল , “ কী করেছি প্ৰভু ? ”

নারায়ণ বললেন , “ তুমি যে সবাইকে স্বৰ্গে পাঠিয়ে দিয়েছ ? ”

কায়স্থ বলল , “ যদি স্বৰ্গে পাঠানো অন্যায় হয়ে থাকে তবে যত সাধু , সন্ত , মহাত্মা আছে সবাইকেই দণ্ড দিতে হয় । আর যদি আমি ঠিক করে থাকি , তবে আর কৈফিয়ৎ কিসের ? এতে যদি আপনার মত না থাকে তো সবাইকে ফেরত পাঠিয়ে দিন ।

তবে শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় আপনার যে বাণী লেখা আছে তা কেটে ফেলতে হবে — “ যদ গত্বা ন নিবৰ্তন্তে তদধাম পরমং মম ’ ( গীতা ১৫ । ৬ ) ”অর্থাৎ আমার ধামে পৌছে কেউ ফিরে আসে না । ”

নারায়ণ — ‘ কথা তো ঠিক ! যত বড়ই পাপী হোক না কেন যদি স্বৰ্গে অর্থাৎ বৈকুণ্ঠধাম যায় তবে ফিরে আসেন না। তার সমস্ত পাপক্ষয় হয়ে যায় । কিন্তু এ কাজ তুমি কেন করলে ? ”

কায়স্থ বলল , “ আমি তো ঠিক কাজই করেছি প্ৰভু ? আমার কাছে যে আসবে আমি তাকেই স্বৰ্গে পাঠিয়ে দেব । আমি কাউকে দণ্ড দেব না । আমি জানি , অল্প সময়ের জন্য সিংহাসন পেয়েছি , তো ভালো কাজ কেন করব না ? মানুষকে উদ্ধার করাকি খারাপ কাজ ?

নারায়ণ যমরাজকে বললেন , ‘ ধৰ্মরাজ ! আমি বুঝতে পারছিনা , একে আপনি সিংহাসনে বসালেন কী কারণে ? ’

ধৰ্মরাজ বললেন , ‘ প্ৰভু ! আপনার লেখা চিরকুট আমার কাছে রয়েছে । ওতে আপনি স্পষ্ট করে এই নিৰ্দেশ দিয়ে তাকে পাঠিয়েছেন । ”

ভগবান কায়স্থকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ ওহে , তোমাকে আবার চিরকুট দিয়ে কখন পাঠালাম আমি ? ’ কায়স্থ বলল , “ আপনি শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় বলেছেন ”সর্বস্য চাহং হৃদিসন্নিবিষ্টং” ( গীতা ১৫/৭ ) ”আমি সকলের হৃদয়ে বাস করি”। অতএব হৃদয় থেকে আদেশ এসেছে কাগজে লিখে দাও , তাই কাগজে লিখে দিয়েছি । আদেশ তো আপনারই । যদি এটা আপনি আমার কথা মনে করেন তো গীতা থেকে ওই কথাগুলো বাদ দিয়ে দিন । ”

নারায়ণ বললেন , “ ঠিক কথা । ”

 

তিনি ধৰ্মরাজকে প্রশ্ন করলেন , “ ওহে ধৰ্মরাজ ! ব্যাপার কী ? এই জীবন্ত মানুষ এখানে এল কী করে ? ”

ধৰ্মরাজ দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন , ‘ যমালয়ে জীবন্ত মানুষ নিয়ে এলি কেন ? ’ দূত বলল , ‘ ধৰ্মরাজ ! আপনিই তো একদিন বলেছিলেন একটা জীবন্ত মানুষ নিয়ে আসার জন্য । ”

ধৰ্মরাজ বললেন , “ এই সেই লোক নাকি ? আরে , সবকিছু বলবি তো !

দূত বলল , “ আমি কী বলব মহারাজ । আপনিই তো কাগজটা নিলেন আর একে সিংহাসনে বসিয়ে দিলেন । তাই আমি আর কিছু বলার সাহস পাইনি । ”

 

হাতিটা কিন্তু ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল ।

সে যমরাজকে বলল , “ হুজুর , আপনি বলেছিলেন আমি কী করে মানুষের বশ হলাম ; এখন দেখছি আপনি এবং নারায়ণও স্বয়ং মানুষের বশ হয়ে গেছেন । এই কালো চুলওয়ালা মানুষ খুব সাংঘাতিক মহারাজ ! এ যদি মনে করে সব ওলোট – পালট করে দিতে পারে । কিন্তু এ তো নিজেই সংসারে ফেঁসে আছে । ”

ভগবান বললেন , “ এখন যা হবার হয়ে গেছে , কী আর করা যাবে ! বাবা ! তুমি এবারে ফিরে যাও । ”

কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু গীতায় আপনি বলেছেন , “ মামুপেত্য তু কৌন্তেয় পুনৰ্জন্ম ন বিদ্যতে ‘ ( গীতা ৮ । ১৬ ) ”আমাকে পাবার পর পুনরায় আর জন্ম নিতে হয়না , তা এখন বলুন আপনাকে কী আমি পাইনি ? ”

ভগবান বললেন , “ আচ্ছা বাবা ! তুমি চলো আমার সঙ্গে । ”

কায়স্থ বলল , “ প্ৰভু ! কেবল আমিই যাব ? ওই হাতি বেচারা এখানেই থাকবে ? এর কৃপাতেই তো আমি এখানে এসেছি । একেও তাহলে সঙ্গে নিই , প্ৰভু । হাতি বলল , “ প্ৰভু ! আমার অনেক স্বজাতি এখানে নরক ভোগ করছে , তাদেরও তবে সঙ্গে নিয়ে নিন । ’ ভগবান নারায়ণ বললেন — “ চল বাবা , সবাইকেই নিয়ে চল । ”

যমালয়ে ভগবানের আসার ফলে হাতির মঙ্গল হল , কায়স্থেরও মঙ্গল হল অন্য সকলেরও মঙ্গল হল ।

 

এটি কল্পিত গল্প । কিন্তু এর তাৎপৰ্য খুব গভীর অৰ্থবহ । কোনো অধিকার যদি পাও তবে তা দিয়ে সকলের মঙ্গল করো । যতটা পার ভালো করো । নিজের দিক থেকে কারো কোনো মন্দ করো না , কাউকে দুঃখ দিও না ।

গীতার বাণী ”সৰ্বভূতহিতে রতাঃ” ( গীতা ৫ । ২৫ , ১২ । ৪ )

“অর্থাৎ জীব মাত্রেরই মঙ্গল চিন্তা করো ’ । অধীকার , পদ ইত্যাদি কিছু দিনের জন্য পাওয়া গেছে , চিরকাল থাকবে না । সুতরাং সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো।

(সংগৃহীত)

COLLECTED FROM WHAT’SAPP

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN

সবই তো স্মৃতি

*লষ্ট প্যারাডাইস*

 

আমরাই শেষ জেনারেশন যাঁরা স্বর্গ দেখেছি। কোনোও জেনারেশনই আর তা দেখতে পাবে না।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা গরুর গাড়ি থেকে সুপার সনিক কনকর্ড জেট দেখেছি। পোস্টকার্ড, খাম, ইনল্যান্ড লেটার থেকে শুরু করে আজকের হোয়াটস্যাপ চ্যাটিং, ই-মেইল পর্যন্তও করছি। অসম্ভব মনে হওয়া অনেক জিনিসই সম্ভব হতে দেখেছি।

 

আমরা সেই জেনারেশন, যারা টেলিগ্রাম এসেছে শুনলেই ঘরগুষ্টির মুখ শুকিয়ে যেতে দেখেছি.. আবার কোম্পানির চাকরি করতে গিয়ে ফি মাসে ম্যানেজারের টেলিগ্রাম পেয়ে ওটাকে বক্সেই নেতিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা মাটিতে বসে ভাত খেয়েছি আর প্লেটে ঢেলে চা খেয়েছি সুরুৎ শব্দে, পরে জেনেছি ওটা বদ-অভ্যাস । বিয়ে বা অন্য অনুষ্ঠানে বাড়ির ভিয়েন থেকে বিজলী গ্রিল ক্যাটারিং দেখেছি।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি, গাছের পাতা হাতে আইস-বাইশ, গাদী, গোল ইঁটের বাট্টুল সাজিয়ে টেনিস বল ছুঁড়ে- পিট্টু, বাঘবন্দি কুমীরডাঙ্গা, ডাঙ্গুলি, কবাড্ডি, মার্বেল খেলেছি, বিশ্বকর্মা-১৫ আগস্টের আগের দিন মাঞ্জা মেরে পরদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে ভো-কা-ট্টা..হাত- ফেত্যি এড়িয়ে সুতোকেটে আকাশের বুকে উড়ে যাচ্ছে রং বেরঙের নানান নামের ঘুড়ি….সেলিব্রেশন অন রুফ-টপ।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা হ্যারিকেন আর বাল্বের হলুদ আলোতে পড়াশুনা করেছি, বেত থেকে পাখার ডাঁটির চাপকানি খেয়েছি আর চাদরে হাফ বডি ঢুকিয়ে উপুড় হয়ে লুকিয়ে পড়েছি শুকতারার পাণ্ডব-গোয়েন্দা, স্বপন কুমারের ‘কালনাগিনীর ছোবল’ ।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা ফ্যান, এসি, হিটার, ফ্রীজ, গ্যাস, মাইক্রোওভেনের অস্থাবর সুখ ছাড়াই কাটিয়েছি ছোটবেলা।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা রাইটার্স পেন থেকে বমি করা সুলেখা কালি হাতে মেখে মাথায় মুছে ‘বাবরের যুদ্ধবৃত্তান্ত’ লিখেছি, হিরো পেনে লিখেছি, বড়দের পকেটে বড় নিবের উইংসাঙ দেখেছি আর নতুন বই-খাতার একটা আলাদা গন্ধ আর আনন্দ উপভোগ করেছি।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা বিনা টিফিনে স্কুলে গেছি, জিভে ‘কারেন্ট নুন’ ঠেকিয়ে কারেন্ট উপভোগ করেছি। ইস্কুলে টিচারের হাতে মার খেয়ে, বাড়ি এসে নালিশ করাতে সেকেন্ড-রাউন্ড বেদম ফ্রি-ষ্টাইল ওয়ান-ওয়ে ফাইট সহ্য করেছি।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা বড়দের সন্মান করেছি এবং করেও যাচ্ছি। আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা জোৎস্না রাতে ছাদে ট্রানজিস্টরে বিবিসি’র খবর, আমিন সাহানির বিনাকা গীতমালা , শ্রাবন্তীর বোরোলিনের সংসার, শনিবারের বারবেলার শেষ সাক্ষী।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা টেলিভিশনে প্রথম সোপ-অপেরা বুনিয়াদ, নুক্কর, প্রিয়া তেন্ডুলকারের ‘রজনী’, শেখর সুমনের প্রথম সিরিয়াল ‘বাহ্ জানাব’, রাতের দিকে ওম পুরীর ভারত ভাগের ‘তমস্’ সঙ্গে চিত্র-হার এরপর রামায়ণ , মহাভারত ঘুরে রাত জেগে খেলা দেখার জন্য ছাদে উঠে এ্যন্টেনা এডজাস্ট করে স্যিগনাল ধরার চেষ্টা করেছি । বড়লোকদের ছিল মই মার্কা পাঁচলাঠির এন্টেনা, ডান্ডায় বাঁধা বুষ্টার। আমাদের ছিল তিন লাঠির, আর ছিল টিভি স্ক্রিনে পার্মানেন্ট ঝিলমিলানি, তাতে কোনও প্রব্লেমই হোত না, ওটা জীবনের অঙ্গ ধরাই ছিল। গন্ডগোল পাকাতো ঐ লোডশেডিং। পয়েন্ট ধরে ধরে ভাড়ার জেনারেটর তখনও পাড়ায় আসেনি।

 

আমরাই সেই শেষ জেনারেশন যারা আত্মীয় স্বজন বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করতাম। ইচ্ছে করে বৃষ্টি ভিজে ইস্কুল থেকে বাড়ি ঢুকেছি। আমরা সেই শেষ জেনারেশন যাঁরা রাস্তার হলুদ বাল্ব জ্বলার আগেই বাড়ি ঢুকেছি।

 

আমরা সেই শেষ জেনারেশন যারা পূজোর সময় শুধু একটা নুতন জামার জন্য অপারগ বাবার দিকে চেয়ে থেকেছি।

 

আমরা সেই শেষ প্রজন্ম যারা রাস্তাঘাটে স্কুলের স্যারকে দেখামাত্র রাস্তাতেই নির্দ্বিধায় প্রনাম করেছি।

আমরাই লাষ্ট জেনারেশন এখনও বন্ধু খুঁজি। জীবনের চলার স্রোতে হারিয়েছি জীবনের স্বর্গ, লষ্ট প্যারাডাইস।😊

 

Post টি আমি হোয়াটস্যাপ এ পেয়েছি..

আমি শুধু আপনাদের কাছে পৌঁছে দিলাম..

এই post টি আমার কাছে আসার পর আমি খুব নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম..

তাই তার সংক্রমন ঘটাতে মন চাইলো..

TAKEN FROM WHAT’SAPP

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN