#স্বামী পরমানন্দ এর জীবনী (দ্বিতীয় পর্ব)

 

 

সুরেশচন্দ্রের গৃহে দেবসেবা ছিল ৷ পিতার ধর্মানুরাগ ও পরহিতাকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি সদগুণ সুরেশের মধ্যেও শৈশবকাল হইতে সংক্রমিত ছিল ৷ তাঁহাদের স্বগ্রামে বালিকাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতে এবং আরও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁহার পিতা পল্লীর মধ্যে একজন অগ্রণী পুরুষ ছিলেন ৷ ইঁহারা কিছুকাল কলিকাতায় এবং পরে ঢাকায় বসবাস করেন ৷

সুরেশচন্দ্র শৈশব হইতেই তীক্ষ্ণধী ছিলেন, কিন্তু বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট পাঠ্যবিষয়ের প্রতি আদৌ তিনি মনোযোগী ছিলেন না ৷ খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বালকোচিত চপলতা ও দুরন্তপনাতেই তাঁহার দিন কাটিয়া যাইত ৷ গাছে চড়া, সাঁতার কাটা, ফুটবল খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, ইত্যাদিতে তাঁহার বন্ধুদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বপ্রথম ৷ একবার ফুটবল খেলার শেষে, বাড়ি ফিরিবার পথে একটি বিষাক্ত সাপ দেখিয়া, অন্যান্য বালকেরা যখন ভয়ে চীৎকার করিতেছিল, সুরেশ তখন পরম আহ্লাদে জীবন্ত সাপটিকে লেজে ধরিয়া ঘুরাইতে ঘুরাইতে মৃতপ্রায় করিয়া দূরে বাগানের মধ্যে ছুঁড়িয়া দিয়াছিলেন ৷ অভয় ও বিনয় এবং পৌরুষ ও মাধুর্য তাঁহার মধ্যে সমভাবেই প্রকাশিত ছিল ৷

বৃদ্ধ পিতাকে সুরেশ ধর্মগ্রন্থাদি পাঠ করিয়া শুনাইতেন ৷ বালকের কণ্ঠও ছিল মিষ্ট ৷ তাই পিতাকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভজন গাহিয়া শোনানোও তাঁহার একটি নিত্যকর্তব্য ছিল ৷ পিতাকে শোনাইবার জন্য ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ উপদেশ’ তাঁহাকে পড়িতেই হইত ৷ উহাতে শ্রীরামকৃষ্ণ-উদাহৃত ‘সূর্যোদয়ের আগে তোলা মাখন’ কথাটি বালক সুরেশের মনে গভীর রেখাঙ্কন করিয়াছিল ৷ রোজই পিতার কাছে বসিয়া, শ্রীরামকৃষ্ণ-প্রসঙ্গ পড়িতে পড়িতে বালকের মনে জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি পরিচ্ছন্ন ধারণা দানা বাঁধিতে থাকে ৷ এই কালে স্বামী নিত্যানন্দ নামে স্বামীজীর একজন সন্ন্যাসী শিষ্যের সংস্পর্শেও বালক সুরেশের মনে জগতের অনিত্যতাবোধ আনয়ন করিতে অনেকখানি সহায়ক হইয়াছিল ৷ একটি স্বপ্ন-দর্শনের স্মৃতিও নাকি তাঁহাকে এইকালে খুব ত্যাগের পথে প্রেরণা দিয়াছিল ৷

  • যাহা হউক, বালক সুরেশ একদিন সংসার ত্যাগের জন্য পিতার নিকট অনুমতি চাহিলেন ৷ বৃদ্ধ পিতা তো ইহা শুনিয়াই সুরেশকে প্রথমে খুব তিরস্কার করিলেন, পরে অনেক করিয়া বুঝাইয়া সংসারে ফিরাইবার জন্য বারবার চেষ্টা করেন ৷ কিন্তু ফল কিছুই হয় নাই ৷ ১৯০০ খ্রীস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের কোন সময়ে এক গভীর রাত্রিতে সুরেশ সকলের অজ্ঞাতসারে, গৃহত্যাগ করিয়া চলিয়া যান ৷ সুরেশ খুঁজিয়া খুঁজিয়া অবশেষে বেলুড় মঠেই আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন ৷
    ( চলবে )

((সংগৃহীত)) PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU MARKETING OFFICER OF SYCN.

নারী জাতি 🌺🌺

🌺🌺🌺আবার প্রমাণিত হইল, নারী শক্তির পূজা ভিন্ন কোন কিছুই উন্নতি হতে পারে না। প্রথমেই নারী শক্তির পূজা চাই।

💥💥💥রাম জন্মভূমি অযোধ্যাতে রামচন্দ্র কে প্রতিষ্ঠার পূর্বে ভূমি পূজার পূর্বে, তান্ত্রিক মতে রামচন্দ্রের পূজার আগে, ভগবতী দেবী কালীকাদেবীর তান্ত্রিক মতে পূজা করা হইল

। ভগবতীদেবী কালীকা র জয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহালক্ষ্মী ও মহাসরস্বতী র ও জয় দেওয়া হয়েছে। তাইতো আমাদের ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব দেখিয়ে গেলেন, কিভাবে নারী জাতিকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হয়।

শাস্ত্রে ও রয়েছে:-

“যে গৃহে নারীগণ পূজিতা হন, সেই গৃহে দেবতাসকল ও সানন্দে আগমন করেন, আর যে গৃহে নারীগণ বহুমান লাভ না করেন, সে গৃহে দেবতাদিগের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত যাগ-যজ্ঞদি কোন ক্রিয়াই সুফল প্রসব করে না।”

 

“যত্র নার্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।

যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।।”…মনু,৩/৫৬

——————————

“জায়ার ভিতরে আত্মস্বরূপিনী দেবী বর্তমানা বলিয়াই লোকের জায়াকে এত প্রিয় বলিয়া বোধ হয়।”

 

💮🪔💥”ন বা অরে জায়ায়ৈ কামায় জায়া প্রিয়া ভবত্যাত্মনস্তু কামায় জায়া প্রিয়া ভবতি।”….. বৃহদারণ্যক, ২য় অধ্যায়, ৪ র্থ ব্রাহ্মণ, ৫

🧎📿🌷🌺ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণদেব ও এই নারীশক্তিকে সম্মান প্রদর্শন করে শ্রদ্ধায় অবনত করে, এই নারীশক্তি ত্রিজগৎ প্রসবিনী শক্তিকে কালে বিরাট নারীমূর্তিস্বরূপে কল্পনা করিয়া তদবলম্বনে জগন্মাতার উপাসনা করিয়া কৃতার্থ হইলেন।

স্বামীজী ও বলেছিলেন, যে দেশের নারী জাতিকে সম্মান প্রদর্শন করা হয় না সেই দেশ উচ্ছন্নে গেছে, নারী শক্তির পূজা ভিন্ন কোন দেশ বা জাতি উঠিতে পারে না। শক্তির প্রতীক এই নারী।

✍️জয় ঠাকুর, জয় মা ,জয় স্বামীজি সকলের মঙ্গল করো🪔🪔🪔

((সংগৃহীত))

PUBLISHED BY SHRUTI ADHYA KUNDU 

MARKETING OFFICER OF SYCN..

🌺🌺শতরূপে নারী 🌺🌺

সকল সনাতনী মায়েদের জানাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।

নারীর নীতি যুগপুরুষোত্তম শ্রীশ্রী ঠাকুরের কথিত এক গুরুত্বপূর্ন নির্দেশনামূলক গ্রন্থ। অনলাইনে চাইলে পড়ে নিতে পারেন।

ঠাকুর নারী জাতিকে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখাতে বললেন। সৎসঙ্গীদের নিকট নারীর স্থান অনন্য উচ্চতায় আসীন। মেয়েরা হল মা,জায়া,ভগিনী,পিসী,মাসী,ঠাকুরমা,কাকীমা,জেঠীমা ইত্যাদি। মায়েদের এমন অনেকরূপ। মায়েরা পরিবার,সমাজ,দেশ,জাতি, সংস্কার, মূল্যবোধ রক্ষা করে চলেছেন। মায়েদের পরমস্নেহে লালন-পালনের কারনে আমরা পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পাই এবং সযতনে বেড়ে উঠি। সনাতন ধর্মে মাকে দেবী জ্ঞানে আরাধনা করা হয়।
ঠাকুর বলেছেন, “প্রত্যেক মেয়েই নিজের মায়ের এক একটা রূপ এমনটা ভাবতে হয়।”
প্রত্যেক মেয়েই জগদজননীর এক একটি অংশ।
মায়েদের অনেক দায়িত্ব এই সংসারে। তাই দশভূজা দূর্গা। মায়েদের দশদিক সামলে চলতে হয়। এ এক পরম নির্ভরতা।
নারীত্বের শক্তি হল বড় শক্তি। এই শক্তি জাগ্রত হলে পৃথিবী অপূর্ব হয়ে উঠবে। সুসন্তানে ভরে যাবে দেশ। মায়েদের গর্ভেই জন্ম নেবে মহান মহান সব আত্মা। যারা পৃথিবীকে আলোকিত করবে অন্ধকার বিতাড়িত করবে।
মা হল মাটির মত সর্বংসহা। মাকে অনেক যন্ত্রনা,আবদার সহ্য করতে হয়।
নারীকে সম্মান দিন। মায়েদের অবহেলা করবেন না। মায়েরা সারাজীবন নিজেদের সুখ স্বাচ্ছন্দ উৎসর্গ করেন স্বামী ও সন্তানের সুখের জন্য। মা না থাকলে সংসার এত সুখময় হত না।
মা মানে যিনি মেপে দেন। যিনি যত বেশী মেপে দিতে পারেন তার সন্তান তত বড় হয়।
মা যদি ব্যভিচারীনি হয় তবে পৃথিবীতে ধংস নেমে আসবে। সমাজে অশান্তি ও বিশৃংখলা বাড়বে। কারন তার থেকে কখনও সুসন্তান আশা করা যায় না।
তাই ঠাকুর সাবধান করে বলেছেন,
নারীর শুদ্ধতার উপরই জাতির শুদ্ধতা নির্ভর করছে।
ঠাকুর বলেছেন,
মাতৃভক্তি অটুট যত,
সেই ছেলে হয় কৃতি তত।
যে ছেলের মায়ের প্রতি ভালবাসা আছে সে ছেলে লক্ষ্মী ছেলে। তার মধ্যে মহানত্ব লুকিয়ে আছে। অনন্য এক মাতৃভক্ত ছিলেন শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। যে কোন মূল্যে মাকে খুশী রাখাই তাঁর লক্ষ্য ছিল।

আমরা জানি,জননী জন্মভূমিশ্চ,
স্বর্গাদপী গরীয়সী।
ঠাকুর নারীর নীতি গ্রন্থটি বিশেষ করে মায়েদের জন্য দিয়েছেন। এটা সংগ্রহ করবেন এবং পড়বেন।
ঠাকুরের নারী বিষয়ক আরও বই উদ্ধর্ধনে নারী,নারীর পথে।
জয়গুরু।
বন্দেপুরুষোত্তমম।
শ্রী কিশোরী মোহন দে।