ব্রম্ভকমল

Spread the love

“ব্রম্মকমল”
স্বয়ং ব্রম্মার হাতের এই ফুল পৌরাণিক মতে, হাতির মাথা লাগানোর পরে গণেশের প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ব্রহ্মকমলের জলে স্নান করে। যে কারণে, এই ফুলকে ‘জীবনদায়ী’ পদ্মও বলা হয়। তবে শুধু “পৌরাণিক” মতে গনেশের নয় বর্তমান যুগেও এটি একটি জীবনদায়ীই ফুলই বটে।
উত্তরাখণ্ড গেলেই আপনার চোখে পরবে এই ফুল,মূলত রূপকুণ্ডের পথেই দর্শন পাবেন।
অনেক দুষ্প্রাপ্য ফুলের মধ্যে এটি এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ যাদের মূল আবাস হিমালয় পার্বত্য এলাকা, ভারতের উত্তরাখণ্ড , মায়ানমারের উত্তরাংশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমচীন। হিমালয়ের ৪৫০০ মি. উর্দ্ধে দেখা যায় উত্তরখন্ডের এই “রাষ্ট্রীয় ফুল”। ব্রহ্মকমলের আর দুটো নাম কন, কাপ্ফু *আরো কিছু হতে পারে।
আগে পাহাড়ি অঞ্চলজুরে এই ফুল দেখা দিলেও এখন তা বিলুপ্তের পথে। আঞ্চলিক মন্দিরগুলোয় পুজোর জন্য প্রভূত পরিমাণে ব্যবহৃত হয় এই ফুল। তা ছাড়াও, ব্রহ্মকমলের ঔষধি গুণাগুণের ফলে, প্রচুর পরিমাণে তা বিক্রি হয় কালো বাজারে। তিব্বতে এই উদ্ভিদ ভেষজ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত্ হয়ে থাকে, যা তিব্বতীয় ভাষায় “সা-দু-গোহ-ঘুহ” নামে পরিচিত। নানান ভেষজ ঔষধ ও মুত্র-সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত্ হয়।
তাছাড়া প্রতি নিয়ত পৃথিবীর আবহাওয়া বদলের ফলেও কমে যাচ্ছে এ ফুলের সংখ্যা।
মানুষ নিজেরস্বার্থে ধ্বংস করেই যাচ্ছে এই দুষ্প্রাপ্য ফুল।
কেদারনাথ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি, নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ ও অ্যসকট ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারি— ব্রহ্মকমলের জন্য বর্তমানে এই তিন অভয়ারণ্যই কেবলমাত্র সংরক্ষিত স্থান। কিন্তু ট্রেকার ও ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের কাছে একটাই অনুরোধ পাহাড়ি পথে ঘাটে এর দেখা পেলে ছবি তোলা পর্যন্তই সীমিত থাকবেন, তুলে নষ্ট করবেন না।
***(ট্রেকে বা ভ্রমণে যখন আমরা যাই তখন কিছু জিনিস আমাদের জানাটাও অত্যন্ত প্রয়োজন, সে ফুল হোক বা কীটপতঙ্গ।জিনিসগ
ুলোর সাথে পরিচিত হয়ে সামনাসামনি দেখার মজাই আলাদা আবার পরিচিত হলে গুরুত্বটাও জানা যায়।অকারণ পাহাড়ের-প্রকৃতির জিনিস নষ্ট না করার বিষয়টাও মাথায় থাকে।)

By- Aniruddha Chakraborty


Spread the love