অসাধারণ একটা কবিতা ■■■■■■■■■■■■■■■■*কি অদ্ভুত তাই না?*●●●●●●●●●●●●●●●●●●(ফেরদৌস আহমেদ)
ওরা চাঁদে গিয়ে দেখতে পারে ওখানে অক্সিজেন নেই,আমি খালি পেটে ওদের আশে পাশে ঘুরে বেড়াই,অথচ দেখতে পায় না আমার পেটে খাবার নেই।ওরা বুঝেও বোঝে না আমি খাবার চাই,চাঁদে যেতে চাই না।কি অদ্ভুত তাই না?ওরা মেশিন দিয়ে মানুষের পেটের ভেতরের ছোট পাথরটাকে দেখতে পারে,দেখতে পারে পেটের ভিতর বাচ্চা আছে কি না?সেটা ছেলে না মেয়ে?আমি খালি পেটে তাদের সামনে ঘোরাঘুরি করিকিন্তু তারা আমার পেটের অবস্থা দেখতে পায় না।অথচ আমার মুখ দেখলেই বুঝা যায় আমি দুদিন ধরে খাই না।কি অদ্ভুত তাই না!ওরা পৃথিবীতে কখন কোথায় বৃষ্টি হবে তা দুদিন আগেই যন্ত্র দিয়ে দেখতে পারে।অথচ তাদের সামনেই পেটের ক্ষুধায় আমার চোখ দিয়ে অনবরত বৃষ্টি ঝরছে,কিন্তু তারা দেখতে পায় না।ওদের যন্ত্র গুলো সব দেখে, শুধু দেখে না আমি দুদিন ধরে খাই না।কি অদ্ভুত তাই না?ওরা বাড়ির সামনে বাঁধা পোষা গরু ছাগল কুকুরের পেট দেখে বুঝতে পারে ওরা ক্ষুধার্ত।অথচ আমি বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলছি “মাগো কিছু খেতে দেবেন’ আমি ক্ষুধার্ত।ওরা “মাফ করো” বলে এড়িয়ে যায় আমার পেটের অবস্থা বুঝতে পারে না।জন্তুগুলো না চেয়েও পায়, আমি চেয়েও পাইনা।কি অদ্ভুত তাইনা?ওরা মসজিদ মন্দির গির্জা প্যাগোডার কোথায় একটু রং নষ্ট হয়ে গেছে তা দেখতে পায়আমি ক্ষুধায় কাতর বিবর্ণ চেহারা নিয়ে উপাসনালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি,ওরা আমার কালো মুখ দেখতে পায় না।ইট পাথরের স্থাপনা গুলো মানুষের সেবা পায়, আমি মানুষ হয়েও পাইনা কি অদ্ভুত তাই না?